জাতীয়

পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু, আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় মো. লিটন (৪৯) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

Advertisement

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।

তিনি বলেন, পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার নেতৃত্বে অভিযানে শহীদুল্লাহ হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে আরেক আসামি জসিমকে (৩৭) গ্রেফতার করেছিল পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ওসি খাইরুল ইসলাম, একই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুজ্জামান (৫২), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তার (১৯)।

গত বছরের গত ৩ অক্টোবর রাতে নগরীর এক কিলোমিটার এলাকায় বাসার কাছে রাস্তা থেকে একটি সিআর মামলায় দুদকের সাবেক উপপরিচালক সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানার পুলিশ। থানায় পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হলে পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। আদালত চান্দগাঁও থানাকে মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

Advertisement

মামলার অভিযোগে বলা হয়, এস এম আসাদুজ্জামান, জসীম উদ্দিন, মো. লিটন ষড়যন্ত্র করে শহীদুল্লাহর জায়গা দখলের জন্য মিথ্যা মামলা করেন। আর নিয়মবহির্ভূতভাবে শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করায় ভুক্তভোগীর মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার দিন দুই এএসআই ইউসুফ ও সোহেল রানা দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে পরদিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা জানান।

কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে এবং ওষুধ সেবন করতে না দিয়ে জোর করে টানাহেঁচড়া করে শহীদুল্লাহকে থানায় নিয়ে যান। দুই এএসআই এবং পরিদর্শক তদন্ত শহীদুল্লাহকে থানায় ওসির কক্ষে নিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

এএজেড/এমকেআর