মাশরাফি নামক জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় ২০১৫ সাল স্বপ্নের মত কাটিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলগুলোকে হারানোর পাশাপাশি বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় মাশরাফির বাংলাদেশ। এছাড়াও টানা তিনবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) জয়ী অধিনায়ক তিনি। এমনকি বিপিএলের শেষ আসরে তার ফ্রাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনজুরিতে থাকা মাশরাফিকে এক প্রকার বাধ্য করে শুধুমাত্র অধিনায়ক হিসাবে খেলতে এবং অধিনায়ক হিসাবে খেলে সেরা দল হিসাবেই চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল। অথচ সেই মাশরাফিরই মর্যাদা বুঝলো না ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো।রোববার ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে হয়ে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার বাই চয়েজ ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট’। এ ড্রাফটে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলবেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি। অথচ কলাবাগান ক্লাবের আগেই তাকে দলে নেয়ার সুযোগ ছিল অন্য সব ক্লাবগুলোর।আইকন খেলোয়াড় সংগ্রহের লটারিতে প্রথমে বাছাই করার সুযোগ পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দ্বিতীয় প্রাইম ব্যাংক, তৃতীয় প্রাইম দোলেশ্বর, চতুর্থ আবাহনী লিমিটেড, পঞ্চম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ষষ্ঠ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, সপ্তম কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি, অষ্টম লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, নবম গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স, দশম ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস), একাদশ কলাবাগান ক্রীড়া চক্র এবং দ্বাদশ ব্রাদার্স ইউনিয়ন।এরমধ্যে বাজেট স্বল্পতার জন্য কোন আইকন খেলোয়াড় নেয়নি কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি ও ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস)। এছাড়া বাকি নয় ক্লাবেরই মাশরাফিকে দলে নেওয়ার সুযোগ ছিল; কিন্তু শীর্ষস্থানীয় কোন দলই মাশরাফিকে দলে নেয়নি। শেষ মুহূর্তে এসে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র তাকে দলে টেনে নেয়।কলাবগান ক্রীড়া চক্রে মাশরাফি ছাড়া আর কোন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নেই। এমনকি দলটিতে আব্দুর রাজ্জাক, রবিউল ইসলাম ও মেহরাব হোসেন ছাড়া আর কোন খেলোয়াড়ের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাও নেই। নতুন পুরনোদের নিয়ে বেশ সাদা-মাটা একটি দলই গড়েছে তারা। দলে একমাত্র তারকাই হলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। উল্লেখ্য, গত প্রিমিয়ার লিগে ১২টি দলের মধ্যে দশম স্থান অর্জন করে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। অনেকটা নাটকীয়ভাবে শেষ মুহূর্তে রেলিগেশন থেকে মুক্তি পায় দলটি। এখন দেখার বিষয় কলাবাগানকে কতটা অনুপ্রেরণা যোগাতে পারেন মাশরাফি।কলাবাগান ক্রীড়া চক্র: খান আব্দুর রাজ্জাক, তাসামুল হক, মোহাম্মদ শরীফউল্লাহ, সাদমান ইসলাম অনিক, তানভীর হায়দার খান, মেহরাব জুনিয়র, নিহাদুজ্জামান, জসিম উদ্দীন, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, হাসানুজ্জামান, রবিউল ইসলাম শিবলু, শরীফুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা।আরটি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement