আন্তর্জাতিক

ভারত-বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল সার্ভিস চালু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পণ্যবাহী নৌযান চালু হল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারত-বাংলাদেশ নৌপ্রোটোকল রুট-৫ ও ৬ নম্বরের অধীনে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল শুরু হয়। যদিও এটি মূলত ট্রায়াল রান।

Advertisement

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরে উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল বাড়ানোর উপর জোর দেন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জল পরিবহন ও বাণিজ্য (পিআইডব্লিউটিটি) প্রটোকলের অধীনে ওই রুটের ৫, ৬ নম্বর (ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে আরিচা) ও ৯, ১০ নম্বর (দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া) রুটে জাহাজ চলাচল চালু করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজি হয়। তারই অংশ হিসেবে এই নৌযান সেবা চালু হলো।

সোমবার সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার মায়া অভ্যন্তরীণ শুল্ক বন্দর থেকে এই ট্রায়াল রানের উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সচিব (বাণিজ্য) মহম্মদ শামসুল আরিফ, ভারতীয় অন্তর দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ (আইডব্লুএআই) এর চেয়ারম্যান বিজয় কুমার, আইডব্লুএআই'এর হাইড্রোগ্রাফি চিফ ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র কুমার প্রমুখ।

ট্রায়াল রানের প্রথম দিনই মায়া বন্দর থেকে পণ্যবাহী নৌযান করে পাথর রওনা দেয় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। প্রতি বছর বার্ষিক ২০ লাখ ৬০ হাজার টন পণ্য পরিবহন করা যাবে বলে আশাবাদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এই করিডোর নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর বলেন, এই বন্দর চালু হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। ইমারতি দ্রব্য থেকে খাদ্যশস্য প্রভৃতি সামগ্রী বৈধভাবে ওপার বাংলায় পৌঁছে যাবে। দুই দেশের কর্মসংস্থান হবে। ফলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতি হবে।

Advertisement

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ শামসুল আরিফ বলেন, ঐতিহাসিক এই রুট পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশই উপকৃত হবে। পরীক্ষামূলক যাত্রায় আমরা দেখতে চাইছি যে কার্গো শিপিং, লোডিং ও আনলোডিং এসব ক্ষেত্রে ঠিক কত সময় ও খরচ লাগতে পারে।

ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে নদীপথের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ৪.৫ কিলোমিটার নৌপথ ভারতে এবং বাকি ১১.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশে মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে।

ডিডি/এসএএইচ

Advertisement