সম্ভাব্য জোট সরকারে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করতে পারে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদে প্রত্যেক দল থেকে আড়াই বছর করে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
সূত্র বলেছে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে জোট সরকার গঠনের চেষ্টায় গত রোববার দুই দলের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> নওয়াজের দলে যোগ দিলেন ৬ জন স্বতন্ত্র, শঙ্কায় পিটিআই
২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) একই পদ্ধতিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল। সেসময় দুই দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
Advertisement
লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে রোববারের বৈঠকে পিপিপি-পিএমএলএন উভয় পক্ষই সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
لاہور: پاکستان پیپلزپارٹی کی قیادت سے مسلم لیگ ن کا حکومت سازی کے لئے پہلا باضابطہ رابطہلاہور: مسلم لیگ ن کے صدر میاں شہباز شریف پاکستان پیپلزپارٹی سے حکومت سازی میں تعاون کیلئے بلاول ہاؤس پہنچ گئےلاہور: صدر پی پی پی پی آصف علی زرداری، چیئرمین پی پی پی بلاول بھٹو زرداری اور… pic.twitter.com/bFTAo6JOPW
— PPP (@MediaCellPPP) February 11, 2024বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ভেতরের খবরভেতরের খবর বলছে, বৈঠকে পিএমএল-এন আনুষ্ঠানিকভাবে পিপিপি’কে জোট সরকারে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এসময় পিপিপি’কে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী এবং এমকিউএম-পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়েও অবহিত করেছে নওয়াজ শরিফের দলটি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ১৭ আসন পাওয়া এমকিউএমের সঙ্গেও সমঝোতার দাবি নওয়াজদের
বৈঠকে পিএমএল-এন নেতারা দাবি করেন, তারাই প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রাখবেন। অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দাবি করেন, পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি (সিইসি) এরই মধ্যে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে।
এরপরে, দুই দলের নেতারা পাঁচ বছরের মেয়াদ অর্ধেক করে নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেন বলে জানা যায়।
কেএএ/