খেলাধুলা

‘ঘরের ছেলের’ হাতেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার ভারতের!

অস্ট্রেলিয়ার শিরোপাজয়ী ম্যাচে ৬৪ বলে ৫৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন হার্জাস সিং। ফাইনাল ম্যাচে অসিদের ইনিংসের একমাত্র ফিফটি এটিই। অথচ আসরের আগের ৬টি ম্যাচে তার রান সবেমাত্র ৪৯। আসল জায়গায় এসেই কাজের কাজ করলেন এই অসি ব্যাটার।

Advertisement

সিংয়ের হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৫৩ রানের ইনিংস দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। এতে ভারতীয়দের ৭৯ রানে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু কে এই হার্জাস সিং? যার হাতেই কিনা ৮৪ দিনের মাথায় ফের ভারতের হৃদয় ভাঙলো! অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘরের ছেলের হাতেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়েছে ভারতীয়দের।

হার্জাস ভারতীয় বংশোদ্ভুত অসি ক্রিকেটার। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তার জন্ম। তার বাবা-মা ভারতীয়। ২০০০ সালে তারা পরিবারসহ ভারতের চন্ডীগড় থেকে সিডনিতে পাড়ি জমান। তখন থেকেই হার্জাসের পরিবার সিডনিতে থাকেন।

Advertisement

সেখানে ৮ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন হার্জাস। নিউ সাউথ ওয়েলসের স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে বিকল্প ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর থেকেই আস্তে তার উত্থান ঘটতে থাকে।

ব্যক্তিগতভাবে অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট ক্রিকেটার উসমান খাজাকে আদর্শ হিসেবে মানেন হার্জাস। খেলা শেখেন কোচ নেইল ডি’কস্তার কাছে। এর আগে কস্তা মাইকেল ক্লার্ক, ফিল হজ, মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেনের মতো তারকাদের খেলা শিখিয়েছেন।

হার্জাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার এখনও চণ্ডীগড় এবং অমৃতসরে পরিবার আছে। আমাদের সেক্টর ৪৪-ডি-তে একটি বাড়ি আছে। কিন্তু শেষবার আমি সেখানে ছিলাম ২০১৫ সালে। তারপরে ক্রিকেটে মনোযোগ দেই এবং আমি আর সুযোগ (ভারতে যাওয়ার) পাইনি। আমার চাচা এখনও সেখানে থাকেন।’

সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর তথ্যও দিয়েছেন হার্জাস। জানিয়েছেন, খেলা শেখার শুরুর দিকে ডানহাতে ব্যাট করতেন তিনি। ছোটবেলায় বাড়ির উঠানে ডানহাতে ব্যাট করতে গিয়ে জানালার কাচ ভেঙে বিপদে পড়তে হতো তাকে। পরে সেই বিপদ এড়ানোর জন্য বাঁহাতে ব্যাট করার অভ্যাস করেন তিনি।

Advertisement

হার্জাস বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন বাড়ির উঠানে ডানহাতে ব্যাটিং করতাম, আমি লেগ সাইডের কাছের কাঁচের জানালা ভাঙার বিপদে পড়েছিলাম। তাই সেই সম্ভাব্য সংকট এড়াতে আমি বাঁহাতে ব্যাটিং শুরু করেছিলাম। পরে আমি বাঁহাতেই ব্যাটিংয়ে আটকে গেছি। যদিও আমি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বল করি এবং ডানহাতেই থ্রো করি।’

এমএইচ/এএসএম