দাবি আদায়ে এবার উপাচার্য কার্যালয়ের মেঝেতে বসে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কার্যালয়ে অবস্থান শুরু করেন তারা।
Advertisement
এর আগে দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কার্যালয়ে যান কর্মকর্তারা। এসময় উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যালোচনা প্রয়োজন জানিয়ে কার্যালয়ের পাশের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সঙ্গে মিটিংয়ে অংশ নিলে কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে বসে পড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১২ দফা দাবি নিয়ে সকাল ৯টায় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তারা। পরে বেলা ১১টায় তাদের দাবি আগামীকালের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান।
এসময় উপাচার্য বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। কর্মকর্তারা এতে অসম্মত হন এবং তাদের দাবি সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করা পর্যন্ত উপাচার্য কার্যালয় ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়ে মেঝেতে বসে পড়েন।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটের নেতৃত্বে সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশত কর্মকর্তা এতে অংশ নেন। পরে উপাচার্য সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে কার্যালয়ে না ঢুকে বাসভবনে চলে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তা সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। ভিসি স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন সব দাবির বিষয়গুলো সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে। তবে তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেটের তারিখ ঘোষণা করে সেখানে আমাদের কোনো দাবিকে আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো সিন্ডিকেটের আলোচ্যসূচিতে না নেওয়া পর্যন্ত কার্যালয়ে আমাদের অবস্থান চলমান থাকবে।’
চাকরির বয়সসীমা ৬২-তে উন্নীতকরণ, পোষ্য কোটায় ভর্তিতে শর্ত শিথিল, কর্মকর্তাদের সেশন বেনিফিট প্রদানসহ নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১২ দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন কর্মকর্তারা। তবে এ আন্দোলনে তারা উপাচার্য বিরোধী অবস্থানেরও জানান দিচ্ছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমাম নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাধা দেন তারা। উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা নিয়োগ বোর্ড না করার দাবি জানান।
এসআর/জিকেএস
Advertisement