গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বেশ ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকয়টি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে হল্টেড (এক দিন যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে)। দিনের সর্বোচ্চ দামে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপুল পরিমাণ শেয়ারের ক্রয় আদেশ আসলেও বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে লেনদেনে ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে।
Advertisement
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। এতে এক সপ্তাহেই ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১৫৯ পয়েন্ট। আর ডিএসইতে বাজার মূলধন বাড়ে ১৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা।
এ পরিস্থিতিতে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে। এমনকি সময়ের সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেড়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭১টির। এছাড়া ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।
এমএএস/কেএসআর/এমএস