খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর ব্যাটে বড় পুঁজি ফরচুন বরিশালের

দলীয় ১৬ রানে তামিম ইকবাল, ১৭ রানে আহমেদ শেহজাদ এবং ১৯ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। দ্রুত তিন শীর্ষ ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করছিলো ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হারের পর কী আরও একটি পরাজয় নির্ধারণ হয়ে যাচ্ছে তামিম ইকবালের দলের!

Advertisement

কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মত অভিজ্ঞ এবং সৌম্য সরকারের মত ফর্মে ফিরে আসা ব্যাটার থাকার পর ফরচুন বরিশালের খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কথা ছিল না। রিয়াদ এবং সৌম্য দাঁড়িয়ে গেলেন। ১৩৯ রানের বিশাল এক জুটি গড়লেন তারা দু’জন। প্রায় ১৪ ওভার ব্যাট করলেন এই দু’জন।

এই যুগলের ব্যাটে ভর করেই দুর্দান্ত ঢাকার সামনে ১৮৯ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন ৭৩ রান করে।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুর্দান্ত ঢাকার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে তারা। বিশেষ করে তাসকিন এবং শরিফুলের তোপের মুখে ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। এরপর রিয়াদ এবং সৌম্য মিলে গড়েন ১৩৯ রানের জুটি।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙলেন শরিফুল ইসলাম। ততক্ষণে ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৭তম ওভারের শেষ বলে শরিফুলের বল গ্লাভসে লাগিয়ে উইকেটের পেছনে জমা দেন তিনি। ইনিংস সাজান ৭টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কা দিয়ে।

৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন শোয়েব মালিক। সৌম্য এবং শোয়েব মালিক মিলে ফরচুন বরিশালের রান নিয়ে যান ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে। ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেন সৌম্য সরকার। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

ঢাকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম।

আইএইচএস/এমএমআর/জিকেএস

Advertisement