পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় আগে। তবে আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তার আগেই নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাদের মতে, পাকিস্তানের নির্বাচনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব ছিল। এরপরও নির্বাচনে বিজয়ী হিসেবে যারাই সরকার গঠন করুক, তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে পশ্চিমারা।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, পাকিস্তানের নির্বাচনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর অযাচিত বিধিনিষেধ ছিল। আমরা নির্বাচনী সহিংসতা, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাসহ ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার ওপর বিধিনিষেধের নিন্দা জানাই। পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন>> ভোটের মাঠে এগিয়ে ইমরান সমর্থিতরা, ৯৯ আসনে জয়
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, অভিন্ন স্বার্থের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
Advertisement
পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে প্রায় একই কথা বলেছেন যুক্তরাজ্য এবং ইইউ’র মুখপাত্ররাও।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে সুষ্ঠুতা এবং অন্তর্ভুক্তির অভাব নিয়ে আমাদের গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। দেশটিতে বিভিন্ন দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং কিছু রাজনৈতিক নেতাকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে ও স্বীকৃত দলীয় প্রতীক ব্যবহার আটকাতে আইনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন ইন্টারনেট সেবা সীমিত করা, ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব এবং গণনা প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন>> ক্ষমতা ভাগাভাগিতে রাজি নওয়াজ ও বিলওয়াল ভুট্টোর দল
তিনি বলেন, পাকিস্তানের নতুন সরকারকে অবশ্যই জনগণের কাছে জবাবদিহি এবং দেশের সব নাগরিক ও সম্প্রদায়ের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করতে করবে। এটি অর্জনে এবং আমাদের অভিন্ন স্বার্থরক্ষায় আমরা পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।
Advertisement
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশি বিষয় ও নিরাপত্তা নীতির প্রধান মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে পর্যাপ্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব থাকার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, নির্বাচনে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর পূর্ণ তদন্ত নিশ্চিত করা হোক।
আরও পড়ুন>> পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন সেনাপ্রধান
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং আমরা দেশটির নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে উন্মুখ।
সূত্র: জিও নিউজকেএএ/