লাইফস্টাইল

রোদে বের হলেই কি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?

শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ ঠিক রাখতে বিশেষজ্ঞরা রোদে বের হওয়ার পরামর্শ দেন। নিয়মিত রোদে থাকলে ত্বকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষ হয়। আর তা হতে শুরু করলে ভিটামিন ডি’র পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।

Advertisement

তবে কতটা রোদে কতটা ভিটামিন ডি আছে কিংবা শরীরের জন্য কতটাই বা দরকার? এই বিষয়ে অনেকেরই তেমন কোনো ধারণা নেই। প্রথমে জানা উচিত ভিটামিন ডি শরীরের জন্য কতটা উপকারী ও এর কাজ কী?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে একাধিক অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি কমে যায়। এমনই একটি অটোইমিউন রোগ হল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। এছাড়া টাইপ ১ ডায়াবেটিসও এর মধ্যে পড়ে।

Advertisement

হাড় মজবুত করে

এই নির্দিষ্ট ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য জরুরি। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ে শক্তি জোগায়। এর ফলে হাড় মজবুত হয়। কিন্তু এই ক্যালসিয়াম নিজে নিজে হাড়ে ঢুকতে পারে না। এর জন্য একটা মাধ্যম লাগে। আর সেই মাধ্যম হলো ভিটামিন ডি।

আরও পড়ুন

কম বয়সেই কপালে ভাঁজ পড়েছে? যা করবেনফাস্টিং করলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: গবেষণা

Advertisement

শরীরে ভিটামিন ডি’র পরিমাণ কেন কমে?

বয়স

ভিটামিন ডি ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই সংশ্লেষ করে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন ডি’র সংশ্লেষ কমে যেতে থাকে। এতে রোগের হার বেড়ে যায়।

ত্বকের রং

অনেক সময় বর্ণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকে পিগমেন্টেশন থাকলে শরীর সূর্যরশ্মি ঠিকমতো শোষণ করতে পারে না। তাই একটু গাঢ় বর্ণের ত্বক হলে কম ভিটামিন ডি প্রবেশ করে তাদের শরীরে।

এলাকা

এলাকার জন্যও এমনটা হতে পারে। যেমন উত্তর গোলার্ধের উত্তরদিকের মানুষরা স্বাভাবিকভাবে কম সূর্যের আলো পায়।

শরীরে জন্য কতটা ভিটামিন ডি দরকার?

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সূত্র অনুযায়ী,

১. ১২ মাস পর্যন্ত শিশুদের দৈনিক ৪০০ আইইউ২. এক থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত দৈনিক ৬০০ আইইউ৩. ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত দৈনিক ৬০০ আইইউ৪. ৭০ বছরের বেশি হলে দৈনিক ৮০০ আইইউ৫. গর্ভবতী বা প্রসূতি নারীদের ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন।

কতক্ষণ রোদে থাকবেন?

খুব চড়া রোদ থাকলে ১০-৩০ মিনিট সূর্যে থাকাই যথেষ্ট। এর মধ্যেই শরীর যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি করে নেয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্য অনুযায়ী, এর বেশি ভিটামিন ডি দৈনিক প্রয়োজন পড়ে না।

সূত্র: হেলথলাইন/এবিপি লাইভ

জেএমএস/এমএস