কিছুদিন আছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন মহসিন নাকবি। দায়িত্ব নিয়েই বোর্ডের খোলনলচে বদলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তিনি। বোর্ডে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি, স্পনশরশিপ বিক্রিসহ শুরু করেছেন নানামুখী কাজ।
Advertisement
এর আগে বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন জাকা আশরাফ। তার সময়ে বলতে গেলে কোনো কাজই হয়নি। অর্থের প্রবাহ ছিল কম। দলের অবস্থাও ছিল নাজেহাল। নতুন চেয়ারম্যান আসার পর অবশ্য এখনো কোনো সিরিজ খেলতে নামেনি পাকিস্তান। তবে মহসিন যেসব কাজে হাত দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে, আগামীতে দলের অবস্থা ভালোই হবে। কারণ, অর্থের প্রবাহ বাড়লে খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা ঠিকমতো দেওয়া যাবে।
এরইমধ্যে কয়েক মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির দরপত্র ঘোষণা করেছেন মহসিন। এই দরপত্রগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য সম্প্রচার এবং উৎপাদন স্বত্ব বিক্রির পাশাপাশি খেলোয়াড়দের জার্সির লোগোগুলির জন্য স্পনসরশিপ চুক্তিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
এছাড়া দুই বছরের জন্য লাইভ স্ট্রিমিং স্বত্ব বিক্রয় করা হবে। এক্ষেত্রে আগের চুক্তিগুলোর গুরুত্ব যাচাইবাছাইয়ের সঙ্গে চলমান মুদ্রাস্ফীতির বিষয়াবলিও বিবেচনা করা হবে।
Advertisement
আশা করা হচ্ছে, দুই বছরের সম্প্রচার চুক্তির মাধ্যমে ৬ বিলিয়ন রুপি পর্যন্ত উপার্জন করা হবে। যেখানে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য ৮ মিলিয়ন টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।
সিরিজ স্পনসরশিপটি দুই বছরের জন্য ১.১ বিলিয়ন রুপির বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র কিট স্পন্সরশিপ থেকে বার্ষিক ৬ শত মিলিয়ন রুপি আয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
আনুমানিক ছয় থেকে সাত মিলিয়ন ডলার মূল্যের দুই বছরের উৎপাদন স্বত্ব বিক্রিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ, বিজয়ী কোম্পানি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আইসিসি থেকে একটি চুক্তিও পেতে পারে। টিভি উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ার কারণে স্থানীয় কোম্পানিগুলিকে সুবিধা দেওয়া হতে পারে এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের সাথে মিল রেখে শীঘ্রই দরপত্র জারি করা হতে পারে।
তবে পিএসএল (পাকিস্তান সুপার লিগ) স্বত্ব বিক্রি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে। যে কারণে, কয়েকজনকে দরপত্র প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রতিক্রিয়া হিসাবে বোর্ড একটি সতর্ক পন্থা অবলম্বন করার পরিকল্পনা করেছে। বিশেষত উত্পাদন নিয়ে পূর্ববর্তী বিতর্কের বিষয়ে তিনি অত্যন্ত সতর্ক। চেয়ারম্যান মহসিন নকবি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Advertisement
এমএইচ/এএসএম