দেশজুড়ে

পতিত জমিতে ইকোনমিক জোন করার দাবি

তিন ফসলি জমি বাদ রেখে করে শুধু পতিত ও খাসজমিতে ইকোনমিক জোন (অর্থনৈতিক অঞ্চল) করার দাবি জানিয়েছেন পাবনার বেড়া উপজেলার চাষিরা।

Advertisement

পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বোরামারা মৌজার বোরামারা, সিংহাসন ও বকতারপুর গ্রামের অন্তত চার হাজার পরিবার এ দাবিতে কর্মসূচি পালন শুরু করেছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মানববন্ধন ও চাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও চাষি সমাবেশে বক্তব্য দেন বীরমুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী মিয়া, বোরামারা গ্রামের সাবেক মেম্বার দুলাল উদ্দিন শেখ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান প্রমুখ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। এরইমধ্যে ৯৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। বাস্তবায়নের পথে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ২৮টি। এগুলোর মধ্যে পাবনার বেড়া উপজেলায় একটি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক কাজ চলছে। পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নে যমুনা নদীর তীরে বোরামারা ও সাফুল্লা মৌজায় ৭০০ একর জমির ওপর এ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।

Advertisement

স্থানীয় চাষিরা বলছেন, তাদের জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলে। এসব উর্বর জমির ফসলেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। ফসলি জমি ও বাড়িঘর অধিগ্রহণ হলে তাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না।

তারা বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য তারাও অর্থনৈতিক অঞ্চলটির বাস্তবায়ন চান। তবে এটি বোরামারা মৌজার বাইরে যমুনা নদীর তীরে খাস ও পতিত জমিতে করা হোক। এতে তারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

বক্তারপুর গ্রামের চাষি তৈজুদ্দিন সেখ বলেন, ‘এ সম্পত্তি আমাদের প্রাণ। আমার যাবো কোথায়? হাল, কৃষিকাজ করে খাই। আমার গরিব-অসহায়। আমরা জমি, ভিটেমাটি হারালে কোথায় যাবো?’

বোরামারা গ্রামের সারহান মণ্ডল ও আব্দুল হাই বলেন, ‘আমাদের জমি তিন ফসল ফলা জমি। যেখানে পতিত বা চর আছে সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হোক।’

Advertisement

বক্তারপুর গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমাদের ফসলি মাঠে ৩০-৪০টি ধানের স্কিম আছে। এখানে উৎপাদিত ধানের ভাত খেয়ে সারা বছর বাঁচি। এ ধান যদি না হয় তাহলে না খেয়ে মরবো। বাড়িঘর চলে গেলে আমরা কোথায় যাবো?’

এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম বলেন, শাফুল্লা ও বোরামারা মৌজায় ইকোনমিক জোন স্থাপনের প্রাথমিক কাজ চলছে। এটি সম্পন্ন হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এসআর/এএসএম