আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন

পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৬৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ১০৬টি আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া প্রথম দিকে যেসব প্রার্থী অনেক বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এখন শেষ দিকে দেখা যাচ্ছে তারা হেরে যাচ্ছেন।

Advertisement

নির্বাচনের ফলাফল ম্যানুপুলেটিং বা কারসাজি করা হচ্ছে কি না তা নিয়েও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। যদি তাই হয় তবে সেটি হবে পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বড় তামাশা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তানের গণতন্ত্র, নষ্ট হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

ব্যাপক ধরপাকড়, অত্যাচার ও নিপীড়নের পরেও সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ১০৬টি আসনের মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা ৪৭টিতে জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে ২৪টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের পিপলস পার্টি। আর নওয়াজ শরিফের দল ১৮টি আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

Advertisement

ফলে অনেকেই মনে করছেন এবারের নির্বাচনে কেউ সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই জোট সরকার নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে।

তেহরিক-ই-ইনসাফের সিনিয়র নেতা গহর আলী খান পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা নওয়াজের দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।

সূত্র: আল-জাজিরা, জিও নিউজ

এমএসএম

Advertisement