জাতীয়

‘হাঁস’ নিয়ে হাস্যরস পিটার হাসের

অনেকেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নাম নিয়ে ঠাট্টা-মসকরা করে থাকেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন সময় তার নামের সঙ্গে ‘হাঁস’ মিলিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে নিজের নামের উচ্চারণের সঙ্গে যে ‘হাঁস’ নামের পাখির মিল রয়েছে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

Advertisement

সেটি নিয়ে নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে হাঁসের গলায় যুক্তরাষ্ট্রের লোগো সম্বলিত টাই লাগিয়ে তৈরি কার্টুন দেখিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেন তিনি নিজেই।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত টেকক্যাম্প কর্মশালার সমাপনীতে যোগ দিয়ে ভুল ও অপতথ্যের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে নিজের জায়গায় হাঁসের ছবি বসিয়ে হাসির খোরাক জুগিয়েছেন পিটার ডি হাস।

এ সময় তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা কিছু মজা করতেই পারি… আপনি যদি একটি খবর দেখেন যে, যেটাতে বলা হচ্ছে-আমি আমার অফিসিয়াল জীবনীতে পোট্রেট পরিবর্তন করছি এবং এটা দেখতে এই রকম। এটা রাষ্ট্রদূত হাঁস নয়, এটা রাষ্ট্রদূত হাস।’

Advertisement

তিনি বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নামে অন্তত ১০টি ভুয়া ফেইসবুক পেইজ, নিজের নামে ভুয়া টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভুয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

পিটার হাস বলেন, আমি প্রায়শই দেখি, মানুষ আমার সঙ্গে বৈঠক করে যায় এবং আমি পরদিন পত্রিকায় দেখি, পিটার হাস এক্স-ওয়াই-জেড বলেছেন এবং আমি এমন কিছুই বলিনি। কেউ আমাদের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেক করে না এবং বলে না ‘আপনি কি সত্যি সত্যি এটা বলেছেন?’ অথবা ‘আপনি কী বলেছেন?’ এটা একটা বড় উদাহরণ। কোনো কোনো সময় এটার ক্ষতিকর হয়।

অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, একসঙ্গে আমরা শিক্ষা, অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার ও গণতন্ত্রের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারি।

আইএইচআর/এসএনআর/এমএস

Advertisement