বাংলাদেশে উৎপাদিত বেভারেজ পণ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকার দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে শক্তিসঞ্চারের নামে এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহে ভয়ঙ্কর রোগের বাহক ঢুকাচ্ছে, অনেকগুলো ব্র্যান্ডে মিলছে মাদকের উপাদান। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ভুয়া লাইসেন্সে ২৭ ব্র্যান্ড বিক্রি হচ্ছে; মেশানো হচ্ছে যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রার উপাদান, কর ফাঁকি দিয়ে এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয়। বিষয়টি সত্য কি না তা জানতে চান। সত্য হলে এর বিরুদ্ধে বিএসটিআই কঠোর ব্যবস্থা নেবে কি না তা জানতে চান।
জবাবে শিল্পমন্ত্রী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান। বিস্তারিত জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ২৭৩টি পণ্যকে বিএসটিআইয়ের আওতাভুক্ত করেছে। এনার্জি ড্রিংকস দেশের বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতাভুক্ত নয়। তবে, দেশে উৎপাদিত টাইগার, স্পিড, গুরু ইত্যাদি নামে যেসব ড্রিংকস বাজারজাত করা হচ্ছে সেগুলো বিএসটিআই থেকে কার্বোনেটেড বেভারেজ হিসেবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাইসেন্স নিয়েছে। বিগত এক বছরে সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে বাজারে প্রচলিত ২৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মান অনুযায়ী সব নমুনাই কৃতকার্য হয়েছে।
Advertisement
মন্ত্রী আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে বেভারেজ জাতীয় পণ্যের (স্পিড, রয়েল টাইগার, ব্লাক হর্স, বুলডোজার, পাওয়ার, হাহু, পুরু, গিয়ার, স্ট্রং এবং রেডবুল) নমুনা পরীক্ষা করে নেশাজাতীয় দ্রব্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে, এনার্জি ড্রিংকস নামে বাজারে বিক্রিত পানীয়তে নেশাজাতীয় দ্রব্যের মিশ্রণ ও বাজারজাত রোধে মনিটরিং করা হচ্ছে।
আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম