দেশজুড়ে

স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে শিশুকে হত্যা, সন্দেহে মা

স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেনীর পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দোষী শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে হত্যার পেছনে তার মায়ের হাত থাকতে পারে।

Advertisement

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানা হেফাজতে থাকা লামিয়ার মা আয়েশা, সৎ মা রেহানা ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী লামিয়ার বড় বোন নিহার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, নুর নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশার পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার চার দিন আগে আয়েশা পরশুরামে আসেন। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা যাবে।

ওসি আরও বলেন, নিহত লামিয়ার বড় বোন নিহার কথা অনুযায়ী সে হত্যাকারীদের দেখলে চিনবে। সে জানায়, দুজনই মাথায় হেলমেট পরা থাকলেও বাসায় ঢুকে হেলমেট খুলে ফেলেন। তাদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো, সামান্য মোটা। আগেও তাদের দুজনকে পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। দুজনের সঙ্গেই তার মায়ের পরিচয় ছিল।

Advertisement

এর আগে মঙ্গলবার রাতে লামিয়ার বাবা মো. নুর নবী বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশা ও সৎ মা রেহানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বুধবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালে লামিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে শিশু লামিয়াকে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। লামিয়াকে হত্যার পর দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয়রা নিহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জেআইএম

Advertisement