আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৪’। “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।অভিবাসী কর্মীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাদের অধিকার সংরক্ষণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের অবদানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৪’ উদ্যাপিত হচ্ছে।অভিবাসী কর্মীদের মর্যাদা প্রদান, তাঁদের অধিকার সংরক্ষণ এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘ ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ পালন করে আসছে।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, অভিবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ জন্য তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।রাষ্ট্রপতি বিদেশে যেতে আগ্রহী অভিবাসীদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টিতে নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানসহ প্রতারণারোধে সংশ্লিষ্টদের আরও উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার আহবান জানান। তিনি অভিবাসীদের কল্যাণে তার সরকারের গৃহিত উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও স্বার্থ সংরক্ষণ, তাঁদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে গত ছয় বছরে সরকার বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।এ প্রসঙ্গে তিনি ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী কর্মী আইন-২০১৩’ এবং ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি -২০১১’ প্রণয়ন এর কথা বলেন। -বাসস
Advertisement