ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই পৌর সদরে বেপরোয়া গতির অজ্ঞাত এক গাড়ির চাপায় দুই পা থেঁতলে যায় মো. বাদশার (১২)। এর মধ্যে বাম পায়ের ৫টি অংশ ভেঙে যায় তার। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসায় চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রয়োজন আরও ৫ লাখ। কিন্তু আর অর্থের যোগান দিতে পারছেন না বাদশার সবজি বিক্রেতা বাবা। তাই সন্তানের চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
Advertisement
গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় মিরসরাই পৌর সদরে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
মো. বাদশা মিরসরাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে। তার বাবা মিরসরাই ভূমি অফিসের সামনে ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় বাদশা। সে উপজেলার মিরসরাই লতিফীয়া কামিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাদশার বাবা শামছুল হক বলেন, দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ১২দিন চিকিৎসার পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করি। বাদশার চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি থেকে সাহায্য নিয়ে এতদিন চিকিৎসা চালিয়েছি। আমি সবজি বিক্রি করে কোনোভাবে সংসার চালাই, আমার পক্ষে তার চিকিৎসা করানো আর সম্ভব হচ্ছে না।
Advertisement
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কয়েকটি অপারেশন করে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে মাংস নিয়ে বাম পায়ে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছেন চিকিৎসকরা। পরিপূর্ণ সুস্থ হতে আরও ৩-৪ মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকা লাগবে বলে জানানো হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আরও ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। সমাজের বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারবো।
স্থানীয় কাউন্সিলর জহির উদ্দিন বলেন, সামছুল হক একজন সবজি বিক্রেতা। সবজি বিক্রি করে অনেক কষ্টে সংসার চালান। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সন্তান বাদশার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আরও ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। সমাজের বিত্তশালীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে বাদশাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এএসএম
Advertisement