জাতীয়

মিয়ানমার থেকে এসেছেন ২৬৪ সীমান্তরক্ষী, ৬৫ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় জান্তা বাহিনীর সঙ্গে জাতিগত বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষে জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত ২৬৪ জন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য, সেনা সদস্য, পুলিশ সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।

Advertisement

দেশটিতে সংঘাত চলাকালে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে ৬৫ জন রোহিঙ্গা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের প্রতিহত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৬৪ জনের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে নতুন করে ৩৫ জন যুক্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

Advertisement

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে বিজিপি সদস্য ১৮৩ জন, দুই সেনাসদস্য, চার সিআইডি, পাঁচ পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন সদস্য ২০ জন ও বেসামরিক নাগরিক ৪ জন। নতুন আশ্রয় নেওয়া ৩৫ জনের পরিচয় শনাক্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, গতকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পর্যন্ত ১১৫ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য, সেনাসদস্য আত্মসমর্পণ বা আমাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। আজ সকালে আরও ১১৪ জন যোগ হয়েছে। মোট ২২৯ জন আশ্রয় নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে দুপুরের মধ্যে আরও ৩৫ জন যোগ হয়ে ২৬৪ জনকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থাও করেছি।

তিনি জানান, তাদের মধ্যে ১৫ জন আহত ছিলেন, ৮ জন ছিলেন গুরুতর আহত। গুরুতর আহত ৮ জনের মধ্যে চারজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: একজন রোহিঙ্গাকেও ঢুকতে দেওয়া হবে না: বিজিবি

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আজ সকালে ৬৫ জন রোহিঙ্গা নৌকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেখানে টেকনাফ বিজিবি তাদের প্রতিহত করে পুশব্যাক করার কার্যক্রম চলমান। কোনোভাবেই একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশের ভেতরে আমরা ঢুকতে দেবো না।

বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের স্বার্থে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে বিজিবি।

টিটি/এমকেআর/এমএস