আইন-আদালত

গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে ১১০ শিক্ষার্থী ভর্তি বহাল, ১০ লাখ জরিমানা

রেজিস্ট্রেশন জটিলতায় গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শুধু ১১০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ।

Advertisement

জরিমানার এই টাকা খুলনা গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও কিউনি ফাউন্ডেশনকে দিতে বলা হয়েছে। গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

Advertisement

আদালতে আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঢাবির পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহম্মদ মোরশেদ। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম, শাহ মঞ্জুরুল হক ও নাহিদ সুলতানা যুথী।

১১০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বহাল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে আইনজীবী শাহমুঞ্জুরুল হক জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে’ ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১১০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করায় ওই মেডিকেলটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা খুলনা গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও কিউনি ফাউন্ডেশনকে দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুন হাইকোর্ট এ রায় দেন। রায়ে ৬০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সংক্রান্ত ঢাবির দেওয়া দুটি চিঠি অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম। ওইদিন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ২০০৩ সালে ৮০ জন ছাত্র ভর্তির অনুমতি পায়। পরে ২০১০ সালে তা উন্নীত করে ১১০ জন পায়। পরবর্তীতে ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পরে তারা চিঠি দিয়ে বলে ৫০ জনের বেশি ভর্তি করতে পারবেন না।

Advertisement

এ বিষয়ে আপিলের ভিত্তিতে ১০ জন বাড়িয়েছিল। ওই দুটি চিঠির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রিট করেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার। হাইকোর্টের রায়ের ফলে ওই মেডিকেল কলেজে ১১০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে বলে জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাবি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস