দেশজুড়ে

ধর্ষণ মামলায় পাঁচ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক

ধর্ষণ মামলায় ১৩ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রায় পাঁচ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ রিপোর্টের মূল চিকিৎসককে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

সাক্ষীর জন্য সমনপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ও ডিএনএ রিপোর্টের মূল ডাক্তার আসাদুজ্জামান।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সেদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলাম আংশিক এবং ডিএনএ ডাক্তার রবিউল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আজ তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলামের বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আর একজনের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ রিপোর্টের মূল ডাক্তারের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সমন দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/জেআইএম