গতবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে নকআউট পর্বে অংশ নিতে না পারলেও রাউন্ড রবিন লিগে ১০ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলকে নকআউট স্টেজে ওঠাতে যথেষ্ট কার্যকর অবদান ছিল এ পাকিস্তানি ব্যাটার কাম কিপারের।
Advertisement
১০ ইনিংস ব্যাট করে তিনবার নটআউট থেকে রান করেছিলেন ৩৫১। গড় ছিল পঞ্চাশের ওপরে; ৫০.১৪। ৪ ম্যাচে ফিফটিতে পা রাখা মোহাম্মদ রিজওয়ানের সর্বাধিক স্কোর ছিল ৭৩। স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৬.২৫।
কিন্তু একই দলের হয়ে এবার খেলতে এসে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি রিজওয়ান। নিজেকে কোথায় যেন হারিয়ে ফেলেছেন এ পাকিস্তানি। রান খরায় ভুগছেন রিজওয়ান। ৪ ম্যাচের তার সংগ্রহ মোটে ( ১৭, ১৪, ১৭ , ১৬*) ৬৪।
রান করতে না পারা নিয়ে তেমন কোন হতাশা নেই তার। নিজের এ অনুজ্জ্বল পারফরমন্সে সম্পর্কে রিজওয়ানের ব্যাখ্যা, ‘আমি একজন মানুষ! কোনো মেশিন নই। দলের জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি। তবে আমি দলের ফলাফলে খুশি। আমি ও দলের সবাই এটিই চাই। এটি ভালো।’
Advertisement
তার নিজের পারফরম্যান্সের কথা বলতে গিয়ে আরও একবার রান মেশিন প্রসঙ্গ টেনে রিজওয়ান বলে ওঠেন, ‘আমি যেমন চাই, তেমন হয়নি। আমার ওপর মানুষের প্রত্যাশাও এমন নয়। তবে আমি মেশিন নই। কঠোর পরিশ্রম করছি, নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি।’
বিপিএলের গুণগত মানের উন্নতির জোর তাগিদ রিজওয়ানের কন্ঠে, ‘সত্যি বললে, অন্যান্য লিগের সঙ্গে তুলনায় আসতে হলে বিপিএলকে আরও কয়েক ধাপ এগোতে হবে। বিশ্বের সব প্রান্তে ভিন্ন কন্ডিশন। বিপিএলের কথা জিজ্ঞেস করলে, এখানে এশিয়ান কন্ডিশন। এখানে ভিন্ন কন্ডিশনের মোকাবিলা করতে হবে। আইএল টি-২০, বিগ ব্যাশ অথবা দক্ষিণ আফ্রিকায়ও ভিন্ন কন্ডিশন।’
‘তারা যদি বিশ্বকাপ অথবা এশিয়া কাপে আসে, ভিন্ন কন্ডিশনের সামনে পড়বে। বিপিএলের কন্ডিশন এমন কিছুই হবে। কারণ এটি বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ায় গেলে বাউন্সের সামনে খেলতে হবে। প্রতি বছর আল্লাহ প্রকৃতিতেও ভিন্ন কিছু তৈরি করে। তবে বিপিএলের উন্নতির জন্য আরও কয়েক ধাপ এগোতে হবে।’
বিপিএলে উন্নতির তাগিদ অনুভব করলেও ঠিক কোথায় উন্নতি ঘটাতে হবে? তার ব্যাখ্যা দেননি রিজওয়ান। তার কথা, ‘দেখুন আমি (বিপিএল) কমিটিতে নেই। বিপিএল কয়েক ধাপ এগোবে। কারণ আমার মতে, তারা জানে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কোনো ছোট বোর্ড নয়। তারা জানে। বাংলাদেশের তাদের বড় বড় ক্রিকেটার আছে। অনেক বড় বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ তারা জিতেছে। তো তারা জানে, কোথায় তারা উন্নতি করতে পারে।’
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস/