দেশজুড়ে

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা বাঞ্ছনীয়’

সমাজের বিচারব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে এবং আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা বাঞ্ছনীয়। তাই নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায় ঘোষণার সময় এমন মন্তব্য করেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, অসহায় নারীকে প্রভাবশালী রুহুল আমিনের নির্দেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার রায় ঘোষণা করা হলো। এ আসামিদের সাজা না হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে এবং আদালত জনগণের আস্থা হারাবে।

আরও পড়ুন: ভোটের রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নোয়াখালীতে ১০ জনের ফাঁসি

Advertisement

মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ওই এলাকার মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে সাবেক ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন (৪০), মৃত আব্দুল হাশেমের ছেলে হাসান আলী বুলু (৪৪), মৃত ইসমাঈলের ছেলে মো. সোহেল (৩৫), মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম খলিল বেচু (২৫), মৃত ছিড়ু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবু (৪০), ফকির আহম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩৫), মোতাহের হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩২), মো. রফিকের ছেলে মো. মুরাদ (২৮) ও মৃত চাঁন মিয়ার ছেল জামাল প্রকাশ হেঞ্জু মাঝি (২৮)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ইসমাইল প্রকাশ বাগন আলীর ছেলে মো. হানিফ (৩০), আবদুল হামিদের ছেলে মো. চৌধুরী (২৫), মৃত আহম্মদ উল্লাহর ছেলে বাদশা আলম বাসু প্রকাশ কুড়াইল্যা বাসু (৪০), তোফায়েল আহম্মদ তোফার ছেলে মোশারফ (৩৫), আবুল কালামের ছেলে মো. সোহেল (২৮) ও পলাতক মৃত আরব আলী গর্দানের ছেলে মিন্টু প্রকাশ হেলাল (৫৫)।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে সুবর্ণচরের চরবাগ্গা গ্রামে স্থানীয় রুহুল আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে (৪০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় রাতের আঁধারে এ ঘটনা ঘটে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমএস

Advertisement