আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
Advertisement
তিনি বলেন, রমজানকে ঘিরে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই মাসকে কেন্দ্র করে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। চিনি ও তেলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। এসব পণ্য ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি। এতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করছি দ্রুত এনবিআর এই শুল্ক একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে। এটা হলে রমজানে সুবিধা পাবেন ভোক্তারা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইআরএফ-বিসিসিসিআই বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ। পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা।
Advertisement
তিনি বলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে। আমাদের চালের রিজার্ভ আছে, এই মুহূর্তে প্রায় ১৮ লাখ টন চালের রিজার্ভ। চাহিদার তুলনায় এটা পর্যাপ্ত। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে। এখন আমাদের দরকার উৎপাদক-আমদানিকারক থেকে হোলসেলার ও রিটেইলারদের যে সাপ্লাই চেইন তা নিয়ে কাজ করা। এটা সফল করতে পারলে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিত্যপণ্য আমদানিকারকদের আমরা ডেকেছি। বাণিজ্য, কৃষি ও মৎস্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে সমন্বয় করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উৎপাদন-আমদানি বা রপ্তানি করে না, বরং পলিসি নিয়ে কাজ করে। পলিসির সমন্বয়ে ভোক্তাদের অধিকার সু-প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাইকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে।
পেঁয়াজ ও চিনির বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের পেঁয়াজ ও চিনি নিয়ে একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করার কথা জানিয়েছেন। রমজানে টিসিবি থেকে ভোক্তা পর্যায়ে এক কোটি পরিবারকে আমরা খেজুরসহ পাঁচটি প্রয়োজনীয় পণ্য দেই। তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করা হবে। এতে সাপ্লাই চেইনের ওপর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুধুমাত্র টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিতে চাচ্ছি না, অতিরিক্ত সাপ্লাইয়ার তৈরি করতে চাচ্ছি। যাতে করে বাজারের অন্যান্য অংশে সাপ্লাইটা স্মুথ হয়।
ইএআর/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement