গণবিয়ের অনুষ্ঠানে প্রতারণার অভিযোগে ভারতে দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান।
Advertisement
এর আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে গণবিয়ের নামে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, নিজেদের গলায় নিজেরাই ফুলের মালা পরাচ্ছেন কয়েকজন কনে। বর সেজে বসে থাকা কিছু যুবককে দেখা যায় মুখ লুকাতে।
আরও পড়ুন>> বিশ্বরেকর্ড/ এক অনুষ্ঠানে ৪২৮৬ জনের বিয়ে!
সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ওই অনুষ্ঠানে ৫৬৮ যুগল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পরে দেখা যায়, বেশ কিছু নারী-পুরুষ টাকার বিনিময়ে বর-কনে সেজে বসে ছিলেন মাত্র।
Advertisement
স্থানীয় একজন অভিযোগ করেছেন, বর-কনে সেজে বসে থাকার জন্য পুরুষ ও নারী উভয়কে ৫০০ থেকে দুই হাজার রুপি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।
বিমল কুমার পাঠক নামে ওই ব্যক্তি জানান, কয়েকজন নারী বা কনের সঙ্গে কেউই ছিলেন না। তারা নিজেরাই বরমালা পরেছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি, এসব লোককে ৫০০ থেকে দুই হাজার রুপি করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>> জন্মদিনে বেড়াতে না নেওয়ায় ঝগড়া, স্ত্রীর ঘুসিতে প্রাণ গেলো স্বামীর
রাজ কুমার নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ জানান, তাকে বর সেজে বসে থাকার জন্য টাকা দিতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, আমি সেখানে বিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকেই বসিয়ে দেয়। বলেছিল, এর জন্য টাকা দেবে। এভাবে আরও অনেককে বসানো হচ্ছিল।
Advertisement
আরও পড়ুন>> চিঠি পাঠিয়েছে ৬০ বছর আগের প্রেমিকা, রেগে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা
গণবিয়ের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজেপি বিধায়ক কেতকি সিং। কথিত জালিয়াতিতে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তারা আমাকে ঘটনার মাত্র দু’দিন আগে জানিয়েছিল। আমি সন্দেহ করেছিলাম, সেখানে কিছু ঝামেলা আছে। এখন এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হচ্ছে।
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, সরকার এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য ৫১ হাজার রুপি করে দেয়। এর মধ্যে ৩৫ হাজার রুপি দেওয়া হয় কনেকে, ১০ হাজার রুপি খরচ করা হয় বিয়ের সামগ্রী কেনার জন্য এবং ছয় হাজার রুপি দেওয়া হয় অনুষ্ঠানের জন্য।
সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/