নোয়াখালীর চাটখিলে জোড়া লাগা শিশু মায়মুনা ও মরিয়মকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি শিশুর বাবা শাহীনুর ইসলামকে ডেকে আর্থিক সহযোহিতা প্রদান করেন।
Advertisement
এর আগে সকালে জাগো নিউজে ‘জোড়া লাগা যমজ শিশুর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার টাকাও নেই পরিবারের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি দেখেই সাহায্যের হাত বাড়ান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
বিকেলে পুলিশ সুপারের পক্ষে শিশুদের বাবা শাহীনুর ইসলামকে ডেকে শিশুদের ঢাকায় নিতে ১০ হাজার টাকা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) বিজয়া সেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. ইব্রাহিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ।
পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাগো নিউজে সংবাদ দেখে দরিদ্র পরিবারের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা মাত্র। ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা করা হবে। আমি শিশু দুটির সুস্থতা কামনা করছি।
Advertisement
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যমজ দুই সন্তানের জন্ম দেন চাটখিলের আফরোজা সুলতানা। দুই শিশুর নাম রাখা হয়েছে মায়মুনা ও মরিয়ম।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যমজ শিশু দুটিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
কিন্তু শিশুদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার মতো টাকাও ওই পরিবারের ছিল না। শিশুদের বাবা শাহীনুর ইসলাম বলেন, কাপড়ের মিলে শ্রমিকের কাজ করি আমি। জোড়া লাগানো শিশুদের চিকিৎসা করাতে ঢাকায় নেওয়ার টাকা ছিল না। পুলিশ সুপারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এখন আমার সন্তানদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীসহ সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য কামনা করছি।
শিশুদের মা আফরোজা সুলতানা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের উত্তর বদলকোট দরগাহ বাড়ির মাহবুব আলমের মেয়ে। আফরোজার স্বামী শাহানুর ইসলাম মুন্সীগঞ্জের ভাটারচরে একটি কাপড়ের মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।
Advertisement
আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। স্বামী শ্রমিক ও দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। দুই সন্তানের অপারেশনের খরচ চালানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই সরকারি খরচে চিকিৎসাসহ সমাজের সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা চাই।’
২৬ জানুয়ারি ভোরে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে জন্মের পর শিশুদের নোয়াখালীতে নিয়ে আসা হয়। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম