১৫ বলে এক চার আর তিন ছক্কায় ৩১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ২০৬.৬৬! মেহেদী হাসান মিরাজ সাত নম্বরে নেমে যে ইনিংসটা খেললেন, নিচের ব্যাটারের কাছ থেকে এমন একটা ইনিংস যে কোনো অধিনায়কেরই আরাধ্য।
Advertisement
মিরাজ আবার এই ইনিংসটা খেলেছেন চাপের মুখে। ১০১ রানে নেই ৫ উইকেট। খুলনা টাইগার্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ৪ ওভারে ৫৪ রান দরকার পড়ে ফরচুন বরিশালের। বেশ কঠিনই ছিল।
শোয়েব মালিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের ঝোড়ো জুটিতেই ম্যাচটা বের করে নেয় বরিশাল। মালিক ২৫ বলে করেন হার না মানা ৪১। মিরাজের ইনিংসটি ছিল আরও বেশি বিধ্বংসী।
নিচের দিকে নেমে মিরাজের এমন ব্যাটিং, কতটা প্রত্যাশিত ছিল? ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাইজুল ইসলাম মনে করিয়ে দিলেন, মিরাজ কিন্তু অতীতেও এমন ইনিংস খেলেছেন।
Advertisement
তাইজুল বলেন, ‘মিরাজকে খেয়াল করবেন যে আজই সে এমন ইনিংস খেলেছে তা না। বিগত দিনগুলোতেও করেছে। এটা দলের জন্য ভালো। আমার কাছে মনে হয় ওইরকম সিচুয়েশনে ওর এরকম ইনিংস খেলা, অবশ্যই এটা বড় ক্রিকেটারের লক্ষণ।’
তাইজুল নিজেও ভালো বোলিং করেছেন। জাতীয় দলে তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট বানিয়ে ফেলা হলেও সাদা বলের ক্রিকেটেও বাঁ-হাতি এই স্পিনার কম যান না, প্রমাণ করেছেন বহুবার।
আজ (শনিবার) খুলনার বিপক্ষে ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট তাইজুল।
তিনি বলেন, ‘ভালো বোলিং করতে পারলে সবসময়ই আমি খুশি থাকি। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের জন্য কতটুকু কার্যকর হলাম। আমাকে যে কারণে খেলানো হয়েছে আমি সে কারণটা পূর্ণ করতে পারলাম কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তো মাশাআল্লাহ আমি খুশি।’
Advertisement
এমএমআর/আইএইচএস/