চিলিতে দাবানলের ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। দাবানল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলের কর্মীরা। গত শুক্রবার দাবানলের সূত্রপাত হয়। এরপর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। সে কারণে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। খবর এএফপির।
Advertisement
আরও পড়ুন: বরফের নিচে পর্যটনকেন্দ্র মানালি, বিপর্যস্ত জনজীবন
চিলির ভিনা দেল মার এবং ভালপারাইসো এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শত শত বাড়ি-ঘর। আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
ছবি: এএফপি
Advertisement
ভালপারাইসোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি সোফিয়া গঞ্জালেস কর্টেস বলেন, আমাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে যে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। এই সংখ্যা প্রায় ১০ জন বলে জানা গেছে।
রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এস্ট্রেলা এবং নাভিদাদ শহরে আগুনে প্রায় ৩০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। সেখানকার লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
৬৩ বছর বয়সী ইয়েভোনি গুজম্যান বলেন, আমি এর আগে এ ধরনের কোনো ঘটনা দেখিনি। দাবানলের আগুন যখন তাদের বাড়ির কাছে চলে আসতে শুরু করে তখন তিনি তার বয়স্ক মাকে সঙ্গে নিয়ে পালাতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, এটা খুবই কষ্টের কারণ আমরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে এসেছি কিন্তু আমরা এখনও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারিনি।
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অনেক লোক একসঙ্গে রাস্তায় নেমে আসায় যানবাহনের চাপও বেড়ে গেছে। ফলে দীর্ঘ সময় একই জায়গায় তাদের অসহায় ভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে।
Advertisement
ছবি: এএফপি
প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দাবানল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কৌশল ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই সব বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পোষা প্রাণীদের নামে ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে দিলেন নারী
চিলির জাতীয় বন অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুধুমাত্র ভালপারাইসো এলাকায় দাবানলে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। সেখানকার দাবানল পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিটিএন