আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানপন্থি ১৮ যোদ্ধা নিহত

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর এএফপির। 

Advertisement

আরও পড়ুন: সিরিয়া-ইরাকে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা/ এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তেহরান

মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং তেহরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালানোর পরপরই পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৮ ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়েছেন দেইর এজ্জোর এলাকায়।

এদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি তেহরান। ধারণা করা হচ্ছে, এসব হামলার কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেসব খতিয়ে দেখছে তারা।

Advertisement

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, তারা ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস বাহিনীসহ ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এসব স্থান ইরানের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কুদস ফোর্স ইরান সমর্থিত কোনো আধাসামরিক গোষ্ঠী নয়, এটি সরাসরি ইরানি সেনাবাহিনীর একটি অফিসিয়াল শাখা।

তাই এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে বলছে যে, তারা ইরাক ও সিরিয়ায় বা ওই সীমান্তে ইরানি সেনাবাহিনীকে টার্গেট করেছে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ঘটনায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া হামলায় অংশ নেওয়া যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে হামলা চালিয়েছে এবং এটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলা যায়। কারণ অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের সামরিক সম্পদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে তেহরান।

আরও পড়ুন: ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

Advertisement

গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হন। জর্ডানে ওই হামলার জন্য ইরান–সমর্থিত একটি সশস্ত্র গ্রুপকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় তিনজন নিহত ছাড়াও আহত হন আরও ২৫ জন সেনা সদস্য। ওই হামলার কঠোর প্রতিশোধ হিসেবেই ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র।

টিটিএন