বোলাররা তাদের কাজটা করেছেন। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে মাত্র ১৪২ রানেই আটকে দেন তাসকিন-শরিফুলরা। কিন্তু এই রানও তাড়া করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। মোসাদ্দেক হোসেনের দল ম্যাচ হারে ১৫ রানে।
Advertisement
হারের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারতো। ঢাকার স্বীকৃত ব্যাটাররা যে হতাশা উপহার দিয়েছেন আবারও। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ১১ বলে ৬টি চার হাঁকিয়ে করেন অপরাজিত ২৭ রান।
একশর আগে (৯২ রানে) ৯ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। তারপর তাসকিন তেড়েফুঁড়ে মারছিলেন। যদিও ততক্ষণে জয়ের আশা শেষ।
সতীর্থ ব্যাটারদের ওপর রাগ করেই মারছিলেন নাকি? ম্যাচ শেষে এমন মজার প্রশ্নে একগাল হাসলেন তাসকিন। বললেন, ‘না! না! রাগ করে মারছিলাম না। তা করলে তো লাগবেও না। আমি আসলে (ব্যাটিং) অনুশীলন করছি। আগেও অনেকবার বলেছি, ভালো টেইল এন্ডার হতে চাই। নিয়মিতই অনুশীলন করছিলাম। নিজের ভিত্তি ঠিক রেখে বল অনুযায়ী কানেক্ট করার চেষ্টা করছিলাম।’
Advertisement
রাগের প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটারদের ওপর রাগ করব কেন (হাসি)? ওরা তো আমাদের সতীর্থ। হ্যাঁ, একটু হতাশ। যেহেতু কম রানের ম্যাচও আমরা তাড়া করতে পারিনি। অবশ্যই তাড়া করা উচিত ছিল। আমি নিশ্চিত, আমাদের দলের ব্যাটাররাও হতাশ। দিন শেষে আসলে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট, সবার ক্যারিয়ারেরও বিষয়। অবশ্যই ভালো অনুভূতি নয়।’
নিজের ইনিংস নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘এরকম দুই-একটা ইনিংস হলে নিজেরও একটু ভালো লাগে। কারণ মাঝেমধ্যে যখন এমন হয়, তখন মনে হয় যে বাড়তি যে অনুশীলন করছি, পরিশ্রম করছি, এর ফল পেলাম। এখনও অনেক উন্নতি বাকি আছে। আল্টিমেটলি আমরা টেইল এন্ডাররা যদি উন্নতি করি, এটা আমাদের অনেকগুলো ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখবে। এটাই চাই। কারণ সামনে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। তো একটু মেহনত করলে হয়তো ভালো টেইল এন্ডার হওয়া সম্ভব।’
এমএমআর/আইএইচএস/
Advertisement