বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়া অমর একুশে বইমেলার আজ দ্বিতীয় দিন। এদিন বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে মেলায়। সন্ধ্যায় বইপ্রেমীদের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে পুরো বইমেলা এলাকা।
Advertisement
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। অনেকে বই কিনছেন, কেউ আবার স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তবে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাই বেশি। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থী দুই-তিনজন একসঙ্গে আবার অনেকে বন্ধুদের নিয়ে দলবেঁধে মেলায় এসেছেন।
কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানসুরা তাবাসসুমের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই বইমেলায় আসি। গতকাল মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল আসতে পারিনি বলে বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে আজ আসলাম। এরই মধ্যে একটা বই কিনেছি। ভালো বই পেলে আরও কয়েকটা কেনার ইচ্ছে আছে।’
মেলায় ঘুরে ঘুরে বই দেখছিলেন ষাটোর্ধ্ব রাফসানুল করিম। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘বইমেলা মানে আমাদের প্রাণের উচ্ছ্বাস। সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে বইমেলায় আসছি। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আমাদের বাংলা ভাষার প্রতি দরদ আরও বেড়ে যায়। বাংলা ভাষাকে জানতে ও বুঝতে হলে আমাদের বেশি বেশি বাংলা ভাষার বই পড়তে হবে।’
Advertisement
মেলার মাত্র দুইদিন হলেও বিক্রি হচ্ছে বেশ। প্রথমদিন থেকে দর্শনার্থীদের আগ্রহ স্বস্তি এনে দিয়েছে প্রকাশকদের। বিভিন্ন স্টল ঘুরে বিক্রেতা ও প্রকাশনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্রেতাদের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন তারা। সামনে আরও ক্রেতা পাবেন বলে আশা করছেন।
পালক পাবলিশার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি এলাহী মন্ডল বলেন, ‘বিকেল থেকে অনেক ক্রেতা আসছেন। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন। এবার ভালো বিক্রি হবে আশা করছি।’
পুরো বইমেলা এলাকা ঘুরে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও দেখা গেছে। আর্চওয়ের মধ্যমে মেলায় প্রবেশ এবং মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বইমেলায় দায়িত্বে থাকা নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) অর্পিত হালদার ঠাকুর বলেন, ‘মেলায় যেন অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি না ঘটে সেজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
Advertisement
এনএস/কেএসআর/এএসএম