দেশজুড়ে

বৈশাখ নিয়ে ব্যস্ত রাজবাড়ীর মৃৎ শিল্পীরা

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। সার্বজনীন এ উৎসবকে (বৈশাখ) বরণ করেত প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছোট-বড়, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। পাশাপাশি উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে যেন মাটির তৈরি নানা আসবাবপত্রের জুড়ি নেই। কুমারদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় মাটির তৈরি রং বে রংয়ের নকশা করা হাঁড়ি , কলস, সরা, বাসন, পেয়ালা, সুরাই, মটক, ফুলের টব, মালসা, চাড়ি, পিঠা, পুতুলসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি ছাড়া যেন বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব জমেই না। আর এই মাটির আসবারপত্র (মৃৎ শিল্পী) তৈরিতে জেলার পালপাড়ার কারিগরেরা পহেলা বৈশাখ কে সামনে রেখে তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ ২০২৩ এর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। পহেলা দিনটিকে বরণ করতে প্রায় প্রস্তুত বাংলা সংস্কৃতি প্রেমীরা। আর এ আনন্দ ও সংস্কৃতি পালনে চাই মাটির তৈরি রং বে রংয়ের নকশা করা সব জিনিসপত্র। আর মাটির তৈরি এ জিনিসগুলো তৈরি হয় প্রত্যান্ত গ্রামের পালপাড়ায়। তবে এ শিল্প এখন প্রয়োজনীয় কাঁচা মালসহ আনুষাঙ্গিক সব কিছুর দাম অনেক হওয়ায় হুমকির মুখে। বৈশাখকে কেন্দ্র করেই পালপাড়াগুলো পার করছে ব্যস্ত সময়।পহেলা বৈশাখের আনন্দকে ধরে রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। আর মেলাতেই বিক্রি হবে কুমারদের শৈল্পিক দক্ষতা ও নিপুন হাতের তৈরি মাটির জিনিসগুলো। মৃৎ শিল্পিরা জানান, এই শিল্পে এখন আর তেমন লাভ হয়না। কারণ মাটি ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দিন দিন শিল্পীরা ঝুঁকছে অন্য পেশায়।       রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন গ্রামে গড়ে ওঠা পালপাড়ায় যে চোখ ধাধানো মাটির ভাস্কর্যগুলো তৈরি হচ্ছে তা আবার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। বছরের এই সময়ে মাটির তৈরি জিনিসগুলোর চাহিদা একটু বেশি বলেই ব্যস্ততা তাই খানিকটা বেশি।বাংলার প্রাচীনতম এই ঐতিহ্যবাহী কুমার পেশায় নেই আগের মতো সেই জীবন ধারণের স্বচ্ছলতা। বাপ দাদার পৈত্রিক এ পেশা ছেড়ে অনেকেই ঝুঁকছেন ভিন্ন পেশায়।রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে প্রায় আড়াইশত পরিবার এই মৃৎ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দরকার সরকারি সাহায্য প্রদান পাশাপাশি সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করে তবেই হাজার বছরের পুরানো এই শিল্প বেঁচে থাকবে। রুবেলুর রহমান/এমএএস/এবিএস

Advertisement