বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে অ্যালার্জিসহ নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শীতে ত্বকের শুষ্কভাব চুলকানি, ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া বা ফুসকুড়ির সমস্যা বেড়ে যায়।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য শীত-বর্ষা দুই মৌসুমই সবচেয়ে খারাপ। এ সময় ত্বকের অ্যালার্জি বা শ্বাস প্রশ্বাসের অ্যালার্জি বেড়ে যায়। শীতে ধুলাবালি, ঠান্ডা আবহাওয়ারি কারণে কোল্ড অ্যালার্জিসহ চর্মরোগও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: অ্যালার্জিতে ভুগছেন কি না বুঝে নিন লক্ষণে
এ সময় অ্যালর্জির প্রভাবে চোখও সংক্রমিত হতে পারে। যেমন- কনজেক্টিভাইটিস, চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি অ্যালার্জেন সংক্রমণের কারণে হয়। জেনে নিন শীতে কী ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে-
Advertisement
ত্বকের অ্যালার্জি
শীতে ত্বকের অ্যালার্জি বেড়ে যায়। যেখানে দূষণের মাত্রা খুব বেশি, সেখানে চলাফেরার মাধ্যমে রোগীর শরীরে অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অ্যালার্জির কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধের উপায়
এছাড়া সস্তা সিনথেটিক পদার্থ দিয়ে তৈরি শীত পোশাক বা গ্লাভস ত্বকের সংস্পর্শে আসার কারণেও ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ যেমন- হাঁটু বা কনুইতে গিয়ে পৌঁছায় বিভিন্ন ছত্রাক। এর ফলে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।
Advertisement
এছাড়া পোষা প্রাণী, পরাগ বা ধূলিকণার সংস্পর্ষে আসলে হিস্টামিনস নামক রাসায়নিক উপাদানের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে অ্যালার্জির ট্রিগার করে থাকে।
এর থেকে বাঁচতে এজন্যই বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টি হিস্টামাইন জাতীয় ওষুধ মৌসুমী অ্যালার্জির চিকিৎসায় ব্যবহার করে। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, তরল, অনুনাসিক স্প্রে ও আইড্রপসসহ বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় এটি।
আরও পড়ুন: অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মিলবে ৫ তেলে
হাইপারপিগমেন্টেশন
শীতে আরও একটি সাধারণ এলার্জি হলো হাইপারপিগমেন্টেশন। যা ত্বকে বিশেষ করে মুখে গাঢ় প্যাঁচ সৃষ্টি করে। সাধারণত ত্বকের মেলানোসাইট (মেলানিন উত্পাদনকারী কোষ) যখন সূর্যের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে, তখন হাইপারপিগমেন্টেশনের সৃষ্টি হয়।
শীতে যেহেতু সবসময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না, তাই যখন হঠাৎ সূর্যের সংস্পর্শে যাওয়া হয় তখন এই অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: অ্যালার্জির কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধের উপায়
ব্রণ ও একজিমা
শীতে ব্রণ ও একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর্দ্রতা ও পরিবর্তিত আবহাওয়া ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব্রণ ও একজিমা সৃষ্টি করতে পারে।
সঠিক চিকিত্সা ও ত্বকের যত্ন নিলে অনেক সময় এগুলো সেরে যায়। তবে বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/জিকেএস