একুশে বইমেলা

আইএসইউ উপাচার্যের তিন বই

প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খানের লেখা ‘ফিরে দেখা নিজেকে’, ‘নারী’ ও ‘পড়ন্ত বয়সে সুখের সন্ধানে’ শীর্ষক তিনটি বই প্রকাশ করেছে আবীর পাবলিকেশন্স।

Advertisement

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ)-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান তার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা বইগুলোর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনের বাস্তবতাকে।

‘ফিরে দেখা নিজেকে’ বইয়ে গ্রন্থকার ফেলে আসা জীবনের প্রাপ্তি, তৃপ্তি-অতৃপ্তি, সামাজিক অবক্ষয় ও পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ছাত্রজীবনের উপভোগ্য সময় এবং সংসার জীবনের খুঁটিনাটি, সবকিছুর স্মৃতিচারণ সমৃদ্ধ করেছে এই আত্মকথনকে।

‘নারী’ গ্রন্থে জীবনের অতিক্রান্ত সময়ে দেখা বহু নারীর আচার-ব্যবহার ও ভিন্নতা পরিলক্ষণের ভিত্তিতেই ছয়জন নারীর জীবন সংগ্রামের বাস্তবতা উপস্থাপন করা হয়েছে কাল্পনিক নামে। গ্রন্থকার এখানে তুলে ধরেছেন কীভাবে নারীর ত্যাগ, দ্বায়িত্ব ও অবদান গোটা পরিবারের সফলতা এনে দেয়। নারী আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে। নারী গ্রন্থে নিপীড়িতা নারী রোকেয়া, নিপীড়ক নারী হেনা, সহনশীলা নারী তানিয়া, অদূরদর্শী নারী সাহানা, বুদ্ধিদীপ্ত ও দূরদর্শী সফল নারী রোজিনার মাধ্যমে লেখক নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারে নারীর অংশগ্রহণমূলক অবদানের কথা তুলে ধরেন।

Advertisement

‘পড়ন্ত বয়সে সুখের সন্ধানে’ প্রফেসর খানের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রবীণ বয়সে দেশ ও জন্মভূমির আবেশই যে সর্বোকৃষ্ট ও সবচেয়ে আত্মতৃপ্তিদায়ক, তারই তথ্য সমৃদ্ধ উপস্থাপন। অনেক প্রতিষ্ঠিত ও সফল ব্যক্তিও সুখ ও সন্তুষ্টির আশায় ভিনদেশে গিয়ে পেয়েছেন পরনির্ভরতা ও অপরিচিত পরিবেশের করুণ অভিজ্ঞতা। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে নিজ দেশ ও পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েই কোনো ব্যক্তি যে সবচেয়ে সুখী হতে পারে, সে বিষয়ই আলোকপাত করা হয়েছে এ বইয়ে।

এমএইচআর/জিকেএস