দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিক ও চালকরা। এতে তিন ঘণ্টা ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট ভৈরব সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে, প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে আসেন চালক ও শ্রমিকরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পরে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজমোড় এলাকায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। এতে শত শত শ্রমিক অংশ নেন।

অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ওইসব সড়কে চলাচল করা শত শত যাত্রী। এসময় পাটগুদাম সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোতে চলাচল করা যানবাহন আটকা পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়ক অবরোধের কারণে সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে আসেন। আশা করছি সড়ক পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান হবে।

Advertisement

এ বিষয়ে বিআরটিসি ময়মনসিংহ বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপরারেশন) জাফর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৮ সালে ময়মনসিংহে ৪৭টি বিআরটিসি বাস চালু করে সরকার। কিন্তু করোনার কারণে যাত্রী কমে যাওয়ায় তখন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিছু বাস ময়মনসিংহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে ময়মনসিংহে ২৯টি বাস সড়কে চলাচল করছে। তিনি আরও বলেন, মালিকানাধীন বাসগুলো আন্তঃজেলায় চলাচল করে। আর বিআরটিসি জেলার লোকাল সার্ভিস। এতে সাধারণ বাসমালিক বা শ্রমিকদের ক্ষতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু তারা অযৌক্তিকভাবে জনগণের বিপক্ষে গিয়ে জনপ্রিয় এ সরকারি সার্ভিসটি দমিয়ে রাখতে চাইছেন। এটা অন্যায় এবং অযৌক্তিক দাবি।

এমকে সুপার ও শ্যামল ছায়া বাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারা মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পাটগুদাম ব্রিজ মোড় থেকে এমকে সুপারের ৬০টি বাস ও শ্যামল ছায়া পরিবহনের ৪০টি বাস চলাচল করে। এরমধ্যে ডাবল ডেকারের বিআরটিসি বাস চলে সাতটি। বিআরটিসি বাসে ভাড়া কম হওয়ায় সব যাত্রী বিআরটিসি বাসে ওঠে। এতে আমাদের এমকে সুপার ও শ্যামল ছায়া পরিবহনের বাস একবার আসা-যাওয়া করলে তেলের টাকাও ওঠে না। গাড়ির আমদানি, শ্রমিক খরচ কোনোটাই ওঠে না।

তিনি আরও বলেন, আজ বেলা ১১টায় বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসা হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ওই সড়কে পাঁচটি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। ওই সিদ্ধান্ত না মেনে বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পরে শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে আসেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ওই সড়কে বাস চলাচলের জন্য একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে, শুনেছি শ্রমিকরা সেই সিদ্ধান্ত না মেনে সড়ক অবরোধ করেছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য আবারও উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। তবে, বিআরটিসি বাস বন্ধ থাকবে কি না, তা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

Advertisement

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম