জাতীয়

কমিউনিটি পর্যায়ে সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে: সিমিন হোসেন

মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি পর্যায়ে শিশুদের সাঁতার শেখানো উচিত। ৩০ বছর আগে দেখা যেত শিশুরা সাঁতার জানতো। তারা খালে বিলে পুকুরে গোসল করতো। পানিতে ডুবে মৃত্যু সেভাবে ছিল না। এখন কেউ শিশুদের পুকুরে নামতে দেন না। অন্যদিকে, খাল বিলগুলোও পরিষ্কার না। সেজন্য মা-বাবারাও সেইফ মনে করেন না, যে কারণে তাদের পানিতে নামতে দেন না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ব্রিজিং লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রকল্পের (আইসিবিসি) আওতায় এ নতুন প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে।

জন্ম থেকেই শিশুদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, এখনকার শিশুদের দেখা যায় জন্ম থেকে হার্টের ছিদ্র। কোনো না কোনোভাবে তারা বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিচ্ছে। ইদানীং এসব বিষয় বেশি পাচ্ছি। আমার মনে হয় মায়ের যত্নে ঘাটতি থেকে যায়, এ জায়গায় কাজ করতে হবে।

শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। আমি মনে করি আপনারা আইসিবিসি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন এবং এখন থেকেই পরবর্তী বছরের জন্য পরিকল্পনা নেবেন। আমি মনে সবাই মিলে চেষ্টায় শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ এবং উন্নয়নে কাজ করবেন। এখানে যাতে কোনো সমন্বয়হীনতা না হয়।

Advertisement

সাঁতারের জন্য যে শিশুদের নেওয়া হবে তাদের যেন স্কুল থেকে নেওয়া হয়, তাতে করে তাদের স্কুলের পরিচিতি বাড়বে। তাদের পড়াশোনার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে এবং তাদের তথ্য সংরক্ষিত থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রজেক্ট শিশুদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিশুদের সমন্বিত ইসিডি (প্রারম্ভিক বিকাশ) সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাতার সুবিধা প্রদান প্রকল্পের’ ব্রিজিং লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।

সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার প্রকল্পটি ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যেখানে বাংলাদেশ সরকার ২১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ইউনিসেফ ৫৪ কোটি ২১ টাকা ব্যয় করছে। এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস এবং রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুর সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মৃত্যু-ঝুঁকি কমানো।

Advertisement

আইসিবিসি প্রকল্প থেকে দিনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের বিকাশ উপযোগী সেবা, ১-৫ বছর বয়সী শিশুর জন্য কেন্দ্রভিত্তিক সমন্বিত ইসিসিডি সেবা, ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ সাঁতার শিক্ষা, ইসিসিডি বিষয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সামর্থ্য বাড়ানো, শিশুর বিকাশ ও সুরক্ষার সর্বোত্তম পরিকল্পনা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এএএম/এমএএইচ/এএসএম