দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় দুলাল হোসেন (৪০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানসহ দোষী অন্যদের শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা।
দুলাল হোসেন ফুলবাড়ী উপজেলার ঘাটপাড়া গ্রামের মোস্তাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
Advertisement
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুকের ব্যথা নিয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন দুলাল হোসেন। পরে দুলালের স্ত্রী নাসিমা সেখানে থাকা নার্সের কাছে চিকিৎসকের খোঁজ করতে গেলে কর্তব্যরত নার্স সাবিনা আক্তার তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এর কিছুক্ষণ পর দুলাল ওয়ার্ডে চিকিৎসার অভাবে মারা যান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতাল ঘেরাও করেন। এসময় তারা বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। কমিউনিটি ক্লিনিক ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার, নার্স নাসিমা ও মালি মনিকে দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করেন। হাসপাতালটির বর্তমান চিকিৎসার মান খুবই খারাপ। তারা ডা. মশিউর রহমানসহ অন্যদের বদলির দাবি জানান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্যানেল মেয়র মামুনুর রশিদ চৌধুরী। তারা সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার যে অভিযোগ করেছে তা সত্য। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
ফুলবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান একটি সিন্ডিকেট মাধ্যমে হাসপাতালটিকে জিম্মি করে রেখেছেন। এখানে এখন আর মানুষের সেবা হয় না, শুধু বিজ্ঞাপন হয়। এজন্য ডা. মশিউর রহমানকে অপসারণ দাবি করেন তিনি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বিভাগীয় মিটিং রংপুরে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
Advertisement
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডেন্টাল সার্জান ডা. সাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে মেয়র মাহমুদ আলম লিটন উপস্থিত জনগণকে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে স্বজনরা দুলালের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
এ বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকীর ফোনে কল করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এএসএম