গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ের মিশরের রাজধানী কায়রোতে যাওয়ার কথা। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে বলে জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার। গত সপ্তাহে প্যারিসে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের পাশাপাশি কাতার ও মিশরীয় নেতৃত্বাধীন মধ্যস্থতাকারীরাও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি একটি তিন-পর্যায়ের পরিকল্পনা। এতে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং আরও ত্রাণ সরবরাহ অন্তর্ভূক্ত থাকবে। এছাড়া ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দী শুধুমাত্র নারী, শিশু এবং অসুস্থ পুরুষদের মুক্তি দেওয়া হবে বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
Advertisement
এদিকে গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে তীব্র হামলা চালিয়েছে।
গাজায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট বলেছেন, আমরা একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রধান আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়েছি। খান ইউনিসের বহু মানুষ ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে লোকজন পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অস্থায়ী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন যে, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে গঠনমূলক।
Advertisement
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় চার মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছেই।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৬৫ হাজার ৯৪৯ জন। গাজায় হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
টিটিএন
Advertisement