আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৬ বছরে পুতিনের আয় মাত্র ৮ কোটি টাকা!

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গত ছয় বছরে ১০ কোটি টাকারও কম আয় করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি দেশটির নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া নথিতে এমন দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (সিইসি) প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, পুতিন দাবি করেছেন, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্বমোট ৬ কোটি ৭৬ লাখ রুবল আয় করেছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রার এর পরিমাণ ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার কিছু বেশি।

আরও পড়ুন>> গুপ্তচর থেকে পুতিনের রাষ্ট্রনায়ক হয়ে ওঠা যেভাবে

তার এই অর্থের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেতনের পাশাপাশি ব্যাংক আমানত থেকে আয়, সামরিক পেনশন এবং সম্পত্তি বিক্রি করে পাওয়া অর্থও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বর্তমানে এক বছরেই চার লাখ মার্কিন ডলার বা ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেতন পান।

সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পুতিন ১৯৯৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করছেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং ওই বছর থেকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> কারাগার থেকে ‘নিখোঁজ’ রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা নাভালনি

আগামী মার্চ মাসে রাশিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনে জিতে পুতিন ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতাসীন হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা রাশিয়ার নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনে পুতিনের দেওয়া তথ্যমতে, ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার সর্বমোট ৫ কোটি ৪৫ লাখ রুবল (৬ বোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রায়) সঞ্চয় রয়েছে। তিনি চারটি গাড়ির মালিক।

আরও পড়ুন>> রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবেন পুতিন

নথিতে আরও দেখা যায়, সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি গ্যারেজসহ অ্যাপার্টমেন্ট এবং মস্কোয় একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে পুতিনের।

তবে তার মালিকানাধীন বলে ধারণা করা অন্যান্য সম্পত্তিগুলোর উল্লেখ নেই ওই তালিকায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচিতে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল বাড়ি, যাকে ‘পুতিনের প্রাসাদ’ বলা হয়। এছাড়া, ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি সাগরপাড়ে তার আরও একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে বলে শোনা যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নথিতে সেটিরও কোনো উল্লেখ নেই।

সূত্র: নিউজউইককেএএ/