সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পেতে বছরের পর বছর মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধা জরিনা বেগম (৬৩)। অনেক কষ্টে জমানো টাকাও দিয়েছেন স্থানীয় নেতাদের কাছে। তারপরও জরিনা বেগমের ঘরের ব্যবস্থা হয়নি। পাশে দাঁড়ানটি জনপ্রতিনিধিরাও। তাই ৩০ বছর ধরে জীর্ণ ছাউনির নিচে বসবাস করে আসছেন জরিনা বেগম। তার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী। ছেলেটাও মানসিক ভারসাম্যহীন।
Advertisement
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরানি বাজারের কুমার পুকুর এলাকায় সড়কের পাশে এমনই দৃশ্য দেখা গেলো।
একটি ঘরের দাবি করে জরিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েটা মারা যাওয়ার পরে অসহায় হয়ে গেছি। ছেলেটা পাগল। স্বামী শয্যাশায়ী। কথা বলতে পারে না। আমাদের দেখার মতো কেউ নেই। আমার একটা ঘর দরকার।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবছরের ৯ আগস্ট ঠাকুরগাঁও জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হরিপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হয়েছে তারও এক বছর আগে ২০২২ সালের মার্চে। এখন পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলায় সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন আট হাজার ১৮৭ জন। এরমধ্যে হরিপুর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ঘর দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৩১৬ জনকে।
Advertisement
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, ‘এখন কোনো ঘর নেই। সরকার যদি আবার এসব কাজ করে তখন ঘরের জন্য চেষ্টা করা হবে।’
হরিপুর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঠাকুরগাঁওকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হলেও যদি কোনো ব্যক্তি দুর্যোগের কারণে বা অসহায়ত্বের কারণে ঘরের জন্য আবেদন করেন তাহলে তাকে ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে ওই পরিবারকে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
তানভীর হাসান তানু/এসআর/জিকেএস
Advertisement