ফুলের সমারোহের মাঝে গড়ে উঠেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ইবাদত ঘর মসজিদ। পথচারীদের প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করছে মসজিদটির সৌন্দর্য। অপরূপ সৌন্দর্যের এই মসজিদের দেখা মিলবে মহাখালী ডিওএইচএস এর ভেতরে। যার চারদিকে সবুজের হাতছানি, কোলাহলমুক্ত শান্ত পরিবেশ। নাম ‘মহাখালী ডিওএইচএস জামে মসজিদ’।
Advertisement
মহাখালী ডিওএইচএসের বসবাসরত ও বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা মানুষ যখন মসজিদটির নির্মাণশৈলী প্রথম দেখেন, মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন কিছু সময়। মসজিদটির চারদিক জুড়ে রয়েছে নাম না জানা লাল, নীল, হলুদ রঙের ফুল। অনেকে ফুলের রূপে মুগ্ধ হয়ে স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তোলেন, নামাজের সময় হলে পড়েন নামাজ।
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতে পুরোনো বইয়ের ঘ্রাণ
মসজিদটির নয়নাভিরাম দৃশ্য যেমন চোখে আটকে থাকে তেমনি নামাজ আদায় করলে মনকে করে তুলে প্রশান্ত। ফুলের বেষ্টনীতে ঘেরা মসজিদটি দূর থেকে দেখলে প্রথমে মনে হবে কোন ফুলের রাজ্য কিংবা রাজ প্রাসাদ। মসজিদের আরও রয়েছে বিশালাকার একটি মিনার। ধবধবে মিনারটি মসজিদটির রূপ শতগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
Advertisement
দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি বর্তমানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তাই অনেকেই মহাখালী ডিওএইচএসে ঘুরতে এলে কিংবা বসবাসরতরা বিকালে বের হলে আসরের নামাজ আদায় করতে ছুটে আসনে মসজিদে। এখানে আসা ভ্রমণপিপাসুরা মসজিদের রূপে মুগ্ধ হয়ে ঘুরে দেখেন এর চারপাশ। কারণ ডিওএইচএসের ভেতরে প্রতিটা স্থানই খুব নান্দনিক।
মহাখালীর ওয়্যারলেসে বসবাসরত দর্শনার্থী মাহবুব ইসলাম বলেন, ‘প্রথম যখন ঢাকায় আসি অনেকেই বলত মহাখালী ডিওএইচএসের ভেতরের স্থানগুলো খুবই সুন্দর। হর্ন, কোলাহল মুক্ত, ফুলে সজ্জিত পরিবেশ। একদিন আসরের সময়ে হাঁটতে বের হলে সুন্দর মসজিদটি চোখে পড়ে। তারপর থেকে আসরের নামাজ এখানেই আদায় করি’।
আরও পড়ুন: ইশারায় বিক্রি হয় পলাশের ভেলপুরি
মহাখালী ডিওএইচএসের ভেতর বসবাসরত সৌভিক হাসান বলেন, ‘মহাখালী ডিওএইচএসের ভেতর এমন নান্দনিক মসজিদ আছে যা সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। পবিত্র স্থানে আসলে মনটাও পবিত্র হয়ে যায়। এখানে আসলে আমার খুবই ভালো লাগে। বসন্তের দ্বারপ্রান্তে ফুটে ওঠা ফুলের মাঝের মসজিদটি দেখে মানসিক শান্তি পাই’।
Advertisement
সন্ধ্যা নামার আগে পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়ার সময় মসজিদটি দেখতে এতটাই মনোমুগ্ধকর হয়, যা ভাষায় বোঝানো সম্ভব না। পরিকল্পিত ও সবুজ-শ্যামলে ঘেরা গোধূলিলগ্নে মসজিদটিকে সাজিয়ে তোলে শতগুণ, দেয় অন্য একটু রূপ!
কেএসকে/জেআইএম