আন্তর্জাতিক

হামাসের টানেলে পানি ঢালার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল

প্রায় দুমাস আগে একটি মার্কিন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে, গাজায় হামাসের টানেলে সাগরের পানি ঢালা হচ্ছে। এতে করে এসব টানেল প্লাবিত হলে বিপাকে পড়বে হামাসের সদস্যরা। যদিও সে সময় ইসরায়েলি বাহিনী এই খবর অস্বীকার করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনারা নিশ্চিত করেছে যে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজায় হামাসের টানেলগুলোতে সাগরের পানি ঢালা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: যুুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস

হামাসকে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে গাজায় টানেলের মধ্যে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এই অভিযানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে তৈরি করা বিভিন্ন মেশিন এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।

ডিসেম্বরে এই খবর ফাঁস হয় যে, ইসরায়েলিরা এ ধরনের ব্যবস্থায় আগ্রহী। ওই খবর প্রকাশের ঠিক একদিন পরেই ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি একে একটি ভালো ধারণা বলে অভিহিত করেন। তিনি সে সময় বলেন সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে এমন যে কোনো কিছুই তারা বিবেচনা করছেন।

Advertisement

তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বরাবরই বলে আসছে যে, গাজার এসব টানেলেই ইসরায়েল থেকে অপহরণ করা ১৩৬ বন্দিকে আটকে রাখা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বোমাবর্ষণে ইতোমধ্যেই অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু এটি এমন কিছু যা সেচ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবে এবং মাটির গুণাগুন নষ্ট করে দেবে।

ছবি: এএফপি

এদিকে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের রাজনৈতিক প্রধান জানিয়েছেন, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ ও ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারকে গুরুত্ব দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পশ্চিম তীরের একটি হাসপাতালে ডাক্তারের ছদ্মবেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ৭৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন।

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা ও স্থল অভিযানের মধ্যেই পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। চলছে ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

আরও পড়ুন: ইরান নিষেধাজ্ঞাকে সুযোগে রূপান্তর করেছে: খামেনি

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে মোট ৬ হাজার ৩৯০ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে দখলদার বাহিনী।

টিটিএন