সুরা গাশিয়াহ কোরআনের ৮৮তম সুরা, মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটির আয়াত ২৬টি, রুকু ১টি। গাশিয়াহ অর্থ এখানে কেয়ামত। শব্দটির মূল অর্থ আচ্ছন্নকারী। কেয়ামত তার ভয়াবহতায় মানুষসহ পুরো সৃষ্টিজগতকে আচ্ছন্ন করবে। কেয়ামতের দিন জান্নাতি ও জাহান্নামিদের কী অবস্থা হবে তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এ সুরায়।
Advertisement
সুরা গাশিয়াহর ১-১৬ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, (১) কেয়ামতের সংবাদ কি তোমার কাছে এসেছে?, (২) সেদিন অনেক চেহারা হবে অবনত। (৩) কর্মক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। (৪) তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। (৫) তাদের পান করানো হবে ফুটন্ত ঝর্ণা থেকে। (৬) তাদের জন্য কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম ছাড়া কোন খাদ্য থাকবে না। (৭) তা মোটা-তাজাও করবে না এবং ক্ষুধাও নিবারণ করবে না। (৮) সেদিন অনেক চেহারা হবে লাবণ্যময়। (৯) নিজেদের কর্মসাফল্যে সন্তুষ্ট। (১০) সুউচ্চ জান্নাতে। (১১) সেখানে তারা শুনবে না কোন অবান্তর কথা। (১২) সেখানে থাকবে প্রবাহমান ঝর্ণাধারা, (১৩) সেখানে থাকবে সুউচ্চ আসনসমূহ। (১৪) আর প্রস্তুত পানপাত্রসমূহ। (১৫) সারি সারি বালিশ (১৬) এবং সম্প্রসারিত গালিচাসমূহ।
এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই
১. পরকাল, হিসাব ও প্রতিদানে বিশ্বাস মুসলমানদের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস, পরকালে অবিশ্বাসী হয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। পরকালের বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে অন্তরে ধারণ করা আমাদের কর্তব্য।
Advertisement
২. কেয়ামতের দিন হবে এক ভয়াবহ দিন। দিনটি তার ভয়াবহতায় মানুষসহ পুরো সৃষ্টিজগতকে আচ্ছন্ন করে রাখবে।
৩. অবিশ্বাসী ও পাপীরা কেয়ামতের দিন ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত থাকবে। তাদের চেহারা হবে অবনত, ক্লান্ত ও ক্লিষ্ট।
৪. কাফেরদের শেষ গন্তব্য জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি। সেখানে তারা চিরকাল আগুনে জ্বলবে। ফুটন্ত পানি পান করতে বাধ্য হবে। খাবার হিসেবে পাবে কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম; যা ক্ষুধা নিবারণ না করে তাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করবে।
৫. কেয়ামতের দিন মুমিনরা ও নেক বান্দারা হবে নিশ্চিন্ত ও পরিতৃপ্ত। তাদের মনে কোনো ভয় বা আশংকা থাকবে না। তাদের ঠিকানা হবে জান্নাত। জান্নাতের অকল্পনীয় নেয়ামতরাজির মধ্যে তার চিরকাল থাকবে। কোনো রকম কষ্ট তাদের স্পর্শ করবে না।
Advertisement
ওএফএফ/এএসএম