মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি কলেজ সেদায়া ইন্টারন্যাশনাল (ইউসিএসআই)। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ পায়। নাম দেওয়া হয় ‘ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি’। মালয়েশিয়ার অন্যতম এ বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্প্রতি বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করেছে। রাজধানীর বনানীতে রয়েছে ইউসিএসআই’র সুবিশাল ক্যাম্পাস। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইউসিএসআই বিশ্বের শীর্ষ ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। এশিয়ায় ৬১তম ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৪তম।। ইউসিএসআই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মালয়েশিয়ান কারিকুলামের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এখানে ২৪টি প্রোগ্রাম অফার করা হয়েছে, যার মধ্যে ২১টি স্নাতক এবং তিনটি স্নাতকোত্তর। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি কেন বাংলাদেশে এসেছে, কী করতে চায়—তা নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক আল-আমিন হাসান আদিব। জাগো নিউজ: মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির প্রথম বিদেশি ক্যাম্পাস ঢাকায়। কেন প্রথমেই আপনারা বাংলাদেশকে বেছে নিলেন? অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: জনবহুল বাংলাদেশে বহু শিক্ষার্থী মানসম্মত উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে খানিকটা পিছিয়ে। প্রতি বছর বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধে অংশ নিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সীমিত আসন। তাতে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হতেও পারে না।
Advertisement
বড় বড় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখানে রয়েছে। অথচ কোনো ইউনিট বা বিষয়ে যদি দেড় থেকে দুই লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেন, সেখানে ভর্তির সুযোগ পান দুই হাজার থেকে তিন হাজার জন। বাকিরা বঞ্চিত হন। এজন্য বাংলাদেশে আরও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান দরকার। এটা একটা কারণ। আরও পড়ুন>> পরীক্ষামূলক বই পড়ছে শিক্ষার্থীরা, উপযোগিতা যাচাই অক্টোবরে
তবে আমরা এসেছি ভিন্ন কারণে। আমাদের লক্ষ্যও বড়। সেটা হলো-বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মান, স্বীকৃতি ও চাকরির বিশ্ববাজারে অবাধে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
বিগত তিন বছরের তথ্যানুযায়ী— ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট করা কেউ বেকার নেই। বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে যারা পড়বেন, তারাও বৈশ্বিক চাকরির বাজারে নিজেকে দক্ষ-যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
Advertisement
জাগো নিউজ: ভারতের অনেক শিক্ষার্থীও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পড়তে যান। সেখানে (ভারতে) শিক্ষার্থীও অনেক। ভারতে আপনাদের ক্যাম্পাস চালুর চিন্তা-ভাবনা আছে কি না? অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: এটা সম্ভব। আমরা অনেক আগে থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি— ভারতে অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে প্রথম ক্যাম্পাস চালু করেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা উৎসাহ পেয়েছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক। ফলে প্রথমে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। শিগগির আমরা চীনে ক্যাম্পাস চালুর চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে ভারতেও হয়তো সম্ভব হবে।
জাগো নিউজ: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে ব্যতিক্রমী কী আছে? বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে তাল মেলাতে কতটা সক্ষম? অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: দেখুন, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ব্যাপকভাবে বৈশ্বিক অংশীদারত্ব আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আমাদের সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। তাদের কারিকুলাম নিয়ে আমরা গবেষণা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য—ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা। যারা বৈশ্বিকভাবে খাপ খাইয়ে নিয়ে দক্ষভাবে কাজ করতে পারবেন। আরও পড়ুন>> ‘পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা নিলেই ফল খারাপ হবে, এটা যৌক্তিক কথা নয়’
শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও যুগোপযোগী কারিকুলামে পড়াচ্ছি আমরা। এখানে হাতে-কলমে শেখানো হয়। একটি প্রজেক্ট পড়ানোর সময় তা সবচেয়ে সহজ ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেন আমাদের দক্ষ শিক্ষকরা। ক্লাসে আমাদের শিক্ষকদের পাঠদানের প্রক্রিয়াটা বাস্তবমুখী। যার ফলাফলও আমরা পেয়েছি। বিগত তিন বছরের তথ্যানুযায়ী, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট করা কেউ বেকার নেই। বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে যারা পড়বেন, তারাও বৈশ্বিক চাকরির বাজারে নিজেকে দক্ষ-যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও অনেক গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকেন। এটা দুঃখজনক। এমন সব কোর্সে পড়ালেখা করেন, চাকরির বাজারে যার চাহিদা কমে যাচ্ছে। কিন্তু ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে বেকার তৈরি করবে না। বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ গ্র্যাজুয়েট উপহার দেবে, যা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ারে পরিণত হবে। জাগো নিউজ: আপনারা কী কী কোর্স পড়াচ্ছেন? ভবিষ্যতে এখানে আর কোন কোন কোর্স চালু হতে পারে? অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা প্রথম বিএসসি ইন অ্যাকচুরিয়াল সায়েন্স কোর্স অফার করছি। এ কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে চাকরির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বিশ্বব্যাপী চাহিদাসম্পন্ন বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু করছি। যেমন—সিএসসি, বিবিএ, এমবিএ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, হসপিটালিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এছাড়া আমরাই প্রথম হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন ডিজাইন, মাস কমিউনিকেশনে (জার্নালিজম, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন) আন্তর্জাতিক ডিগ্রি চালু করেছি। দেশে বসেই তারা এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক কারিকুলামে পড়তে পারছেন। জাগো নিউজ: ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা কতটা সম্ভব হয়েছে বলে আপনি মনে করেন...। অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের দেশি-বিদেশি শিক্ষকরা এখানে পাঠদানের সঙ্গে যুক্ত। কম খরচে বাংলাদেশি মুদ্রায় আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করছি আমরা। আন্তর্জাতিক মানের ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, ল্যাবসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দেশেই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্র এটি।
Advertisement
আরও পড়ুন>> প্রাথমিকে এসএসসি-এইচএসসি পাস শিক্ষক ৮০ হাজার
শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ার মূল ক্যাম্পাসসহ বিশ্বের শীর্ষ ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার সুবিধা এবং প্রোগ্রামগুলোতে মেধার ভিত্তিতে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বগুণের বিকাশ, সামাজিক ও মানবিক গুণাবলিতে সমৃদ্ধ করতে চেস ক্লাব, আইটি ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব, অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব, পেইন্টিং ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, টেবিল টেনিস ক্লাব গঠন করা হয়েছে। জাগো নিউজ: দেশের শিক্ষার্থীরা দেশে বসে আন্তর্জাতিক কারিকুলাম পড়বে এটা নিঃসন্দেহে ভালো। তবে টিউশন ফি নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। এখানে টিউশন ফি খুব বেশি। আপনি কী মনে করেন? অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির হার আমি দেখেছি। তাদের চেয়ে আমাদের ফি খুব বেশি নয়। এখানে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পাবে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে। কেউ চাইলে অর্জিত ক্রেডিট নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়েও পড়তে পারেন। সেটা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে বড় অংকের স্কলারশিপের সুবিধাও থাকছে। এত এত সুবিধা রেখেও আমরা তুলনামূলক কম টিউশন ফি নিচ্ছি বলেই মনে করি।
জাগো নিউজ: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইউসিএসআই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তারা এখানে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছিলেন। এর কারণ কী? অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: ইউজিসি এটা নিয়ে কখনো কথা বলেছে বলে আমরা জানি না। যদি বলে থাকে, কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলেছে; লিখিতভাবে কোনো কিছু জানিয়েছে কি না, তাও জানানো উচিত। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে সব তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। আমাদের বৈশ্বিক র্যাংকিং, এশিয়ায় আমাদের অবস্থান- সবই তো প্রকাশ্য। এখানে সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশ নেই।
এখানে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পাবে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে। কেউ চাইলে অর্জিত ক্রেডিট নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়েও পড়তে পারেন। সেটা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে বড় অংকের স্কলারশিপের সুবিধাও থাকছে।
মজার ব্যাপার হলো—স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস চালুর অনুমোদন দিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেছেন। এরপর ইউজিসি প্রশ্ন তোলার কে? ইউজিসির এমন কথাবার্তা শুনে আমরা কিছুটা হতবাক। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত এবং যথেষ্ট সচেতন। বিশ্ববিদ্যালয় তদারকি করেন তারা। তারপরও কেন ইউজিসি এমন প্রশ্ন তুলছে, তা বোধগম্য নয়। জাগো নিউজ: বাংলাদেশেও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তারাও নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় বলে দাবি করেন। তাদের চেয়ে কোন দিক থেকে ইউসিএসআই এগিয়ে? অধ্যাপক মোহাম্মদ সালেহ বিন জাফর: ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন। অনেকের মনে এমন প্রশ্ন রয়েছে বলে আমরাও জেনেছি। দেখুন, মালয়েশিয়ায় অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস আছে। আমরা সব সময় তাদের স্বাগত জানাই। প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা আমাদের আরও ভালো করতে উদ্বুদ্ধ করেন। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অন্যটিতে অনেক ভিন্নতা থাকে, সেগুলো থেকেও শেখার রয়েছে। বৈশ্বিক এ যুগে মানসিক সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেটা করতে না পারলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না।
এবার কী দিচ্ছি আমরা শিক্ষার্থীদের, সেটা নিয়ে বলি—আমরা যে সুযোগ-সুবিধা শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি, সেটা বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দিতে পারছে না। এটা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি। এমনকি মালয়েশিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির মতো শিক্ষার সুষম পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। হ্যাঁ, আমরা এখানে নতুন এসেছি। শিক্ষার্থী সংখ্যা কম, এখনো পুরোদমে সবকিছু চালু করতে পারিনি। তার মানে এই নয় যে, আমরা ভুইফোঁড়। আমাদের শিক্ষার মান, কারিকুলাম, শিক্ষক সবকিছু আন্তর্জাতিক মানের। সেটা যদি নিশ্চিত না করতে পারি, কেউ যদি সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের সেটা ধরিয়ে দেন; হয় দ্রুত আমরা সেটা সংশোধন করবো অথবা আমরা এখানে থাকবো না। এএএইচ/এএসএ/জিকেএস