দেশজুড়ে

রাতের ব্যবধানে ধর্ষণ-অপহরণ সব অভিযোগ তুলে নিলেন সেই নারী

উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করলেন সেই নারী। একইসঙ্গে তাকে অপহরণ করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন।

Advertisement

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানিয়েছেন, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ তাকে ধর্ষণ করেননি। এছাড়া খুমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে কেউ অপহরণও করেনি। নিজেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

আমিরুল ইসলাম আরও জানান, অপহরণের অভিযোগে আটক করা এজাজের চাচাতো ভাই গাজী তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধেও ওই নারীর কোনো অভিযোগ নেই। এ কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর গণমাধ্যমের কাছে ওই নারী দাবি করেছেন, তাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি। কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ আটকদের ছেড়ে দিয়েছে। রাতেই নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন তারা।

Advertisement

একদিন আগেই ওই নারী ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেকদিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল তার। শনিবার রাত সোয়া ১১টায় তিনি নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। এরপর রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ওই নারী ও তার মাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

খুমেক থেকে মাইক্রোবাস চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ্জ্জুামানকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম

Advertisement