গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এরপর গত দুদিনে ফিলিস্তিনে এ সংস্থায় অর্থায়ন স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দেশগুলোকে অর্থায়ন ও সাহায্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডে জড়িত জাতিসংঘের যে কোনো কর্মীকে ফৌজদারি বিচারের মাধ্যমে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিচার করতে সক্ষম এমন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে সেক্রেটারিয়েট প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউএনআরডব্লিউএর হয়ে কাজ করা হাজার হাজার কর্মীকে বিশ্বের অনেক বিপজ্জনক জায়গায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হয়। তাদের সবাইকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। সংকটে থাকা মানুষদের এখনো এই কর্মীদের প্রয়োজন।
ইউএনআরডব্লিউএ ইস্যুতে এই প্রথম মন্তব্য করলেন জাতিসংঘ প্রধান। বিবৃতিতে তিনি হামাসের হামলার সঙ্গে জড়িত ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার কর্মীদের সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এরই মধ্যে জড়িত ১২ জনের মধ্যে নয়জনের চাকরি চলে গেছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে ও বাকি দুজনকে শনাক্ত করে পরিচয় স্পষ্ট করা হয়েছে।
Advertisement
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমি অর্থায়ন বন্ধ করা দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ বুঝতে পারছি। অভিযোগ শুনে আমিও ভয় পেয়েছিলাম। তবে তহবিল স্থগিত করা দেশগুলোর সরকারকে কাছে আমি আবেদন করছি যে তারা যেন অন্তত ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রমের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজায় প্রায় ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি এই তহবিলের ওপর বেঁচে আছে। কয়েকজনের অপরাধের জন্য এরকম যুদ্ধ ও রাজনৈতিক সংকট চলাকালে এমন একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এক বিবৃতিতে তিনি অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা
এসএএইচ
Advertisement