শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ ‘অবৈধ’ দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
Advertisement
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার ছয় মাসের দণ্ডাদেশ বাতিল ও সাজা থেকে খালাস চেয়ে ২৫ যুক্তিতে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ তাদের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসের জামিন
Advertisement
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনূসসহ চার আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়।
রায়ে শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: কলকারখানা অধিদপ্তর কাদের প্রতিষ্ঠান, প্রশ্ন ইউনূসের
Advertisement
গত ১ জানুয়ারি রায়ের জন্য ধার্য দিনে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।
এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘন করে যেসব সুযোগ-সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, বিধি সংশোধন করে সেসব সুবিধা প্রদান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও রায়ে বলা হয়েছিল।
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস