হালদা নদী নিয়ে তৌকির আহমেদের ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে হাটহাজারীর রামদা মুন্সির হাট এলাকায় আনুষ্ঠানিক ছবিটির শুটিং শুরু হয়। শুক্রবার ছবির শুটিং করতে পুরো টিম নিয়ে হালদা পাড়ে হাজির হন অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক তৌকির আহমেদ। তবে মাত্র কয়েকটি দৃশ্য ধারণ করেই তারা ফিরে যান। এরপর দুই/এক দিনের মধ্যেই পূণরায় শুরু হবে মূল শুটিং। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এশিয়ার একমাত্র বৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী। নদীর চারপাশে গড়ে ওঠা ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত ধোয়া ও বর্জ্য পদার্থ, চারপাশের জমির কীটনাশকসহ নানা কারণে হুমকির মুখে রুই মাছের প্রজননের জন্য বিখ্যাত এই নদীটি।এই নদীর দিকে সরকার তথা সংশ্লিষ্টদের মনযোগ ফেরাতে স্থানীয় সচেতন মানুষেরা অনেক দিন ধরেই নানামুখী সামাজিক আন্দোলন ও মানববন্ধন করে আসছেন। এবার নদীটির প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে একে রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকির আহমেদ। গত মাসে হালদা নদী ও এর আশপাশের মানুষের জীবনবৈচিত্র নিয়ে ছবি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।আজাদ বুলবুলের গল্পে হালদা নদীর নামেই ছবিটির নাম রাখা হয়েছে। এটি পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যও করছেন তৌকির।নতুন ছবিটি প্রসঙ্গে তৌকীর জাগো নিউজকে বললেন, ‘হালদায় মাছ ডিম ছাড়ে এবং নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এই নদী ও নদীর গতি প্রকৃতি, নদীর ক্ষয় এবং নদী-তীরবর্তী মানুষের জীবন প্রবাহ ও জটিলতা-সবকিছুই আমার ছবির বিষয়বস্তুতে রয়েছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হালদা বিশেষজ্ঞ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘হালদা নদীকে বাঁচাতে তৌকির আহমদের এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘একটি নদীকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়রোধ থেকে রক্ষা করতে শুধু মিছিল মিটিং বা মানববন্ধন যথেষ্ট নয়। এ ধরনের ছবি নির্মাণের মাধ্যমে নদীর প্রয়োজনীয়তাকে সকলের মাঝে তুলে ধরতে হবে।’ হালদাকে নিয়ে সর্বমহলের আন্দোলন এবং কাজের ফসল এটি মনে করেন মনজুরুল কিবরিয়া।জীবন মুছা/একে
Advertisement