যুদ্ধ শেষে জতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজায় আর কার্যক্রম চালাতে দেবে না ইসরায়েল। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক ইসরায়েলি মন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ’র বেশ কয়েকজন কর্মী জড়িত ছিলেন।
Advertisement
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, আগামীতে ইউএনআরডব্লিউএ যেন আর কাজ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সংস্থাটির অন্যান্য প্রধান দাতাদের কাছ থেকে সমর্থন লাভের চেষ্টা করবে তারা।
আরও পড়ুন>> গাজায় ইসরায়েলকে গণহত্যা ঠেকানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের
ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই ‘হুমকির’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। একইসঙ্গে, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল’ না করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
Advertisement
ইউএনআরডব্লিউএ গত শুক্রবার বলেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় জড়িত থাকার জন্য তাদের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। তাদের এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফৌজদারি বিচারের মাধ্যমে’ এসব কর্মীকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করায় দ. আফ্রিকার ওপর ক্ষুব্ধ আমেরিকা
এর প্রতিক্রিয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ’র একটি ‘জরুরি ও বিস্তৃত স্বাধীন পর্যালোচনা’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা আপাতত ইউএনআরডব্লিউএ’তে আর কোনো অর্থ সহায়তা দেবে না। ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সংস্থাটির ১২ কর্মী জড়িত থাকতে পারেন বলে অভিযোগ করেছে তারা।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইতালি জানিয়েছে, তারাও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থায় অর্থ সহায়তা স্থগিত করছে।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভিকেএএ/