ফিচার

যেন প্রাণের উচ্ছ্বাসে ‌‘প্রাণ’র মেলা

বসন্তের বিকাল। রোদের তেজ তখন প্রায় পড়ন্ত। শুক্রবারের রাজধানীর চিরচেনা রূপ যখন শহুরে মানুষগুলোকে হাতছানি দিচ্ছে, তখনই বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি মিলে গেল প্রাণের মেলায়। প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রাণের কাছে নিয়ে যেতেই শুক্রবার আয়োজন করা হয় প্রাণ ফ্যামিলি ডে-২০১৬।এদিন বিকাল ৪টার মূল অনুষ্ঠান শুরু হলেও প্রাণ পরিবারের সদস্যরা মিলতে থাকেন দুপুরের পর থেকেই। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে থাকে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির নবরাত্রী হল প্রাঙ্গণ। হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় নবরাত্রী হল।

Advertisement

সন্ধ্যা ৭টার দিকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আহসান খান চৌধুরী, বিপণন বিভাগের পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান কামাল এবং প্রাণের পরিচালক ইলিয়াস মৃধা।প্রাণের বন্ধনে সবাই যেন সবার অতি অাপনজন হতে থাকেন। কুশল বিনিময় করেন একে অপরের সঙ্গে। চা, কফিসহ প্রাণের নানা স্ন্যাকস ভাগাভাগি করতেও দেখা যায় কাউকে কাউকে। আবার কেউ কেউ স্বজনদেরও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ফ্যামিলি ডেতে।আয়োজনের বিশেষ অাকর্ষণ ছিল শিশুদের জন্য নানা পরিবেশনা। নবরাত্রী হল প্রাঙ্গণের গোটা চত্বরই ছিল শিশুদের খেলনায় ভরপুর। এসব খেলনা পেয়ে শিশুদের আনন্দ যেন ধরে না। বানর খেলা, সার্কাসসহ ছিল গ্রাম বাংলার নানা পরিবেশনা।এদিকে অনুষ্ঠানের পুরো সময়ই হলের অভ্যন্তরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দর্শক অাকৃষ্ট করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাণ পরিবারের সদস্যরা গান, নৃত্য, কবিতা, কৌতুক পরিবেশনা করেন। থাকে শিশুদেরও নানা পরিবেশনা।অনুষ্ঠানস্থলে প্রাণ-আরএফএল-এর তৈরি নানা পণ্যও প্রদর্শন করা হয়। এসব পণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রিও করা হয়।ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ছিল র্যাফেল ড্র-এর অায়োজন। ড্রতে একশ’ জনকে তুলে দেয়া হয় নানা অাকর্ষণীয় পুরস্কার। অনুষ্ঠান শেষে চলে ধুম নৈশভোজের অায়োজনও।ফ্যামিলি ডে-তে সঙ্গী নিয়ে এসেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ঢাকার মধ্যে এমন আয়োজন! সত্যিই অপূর্ব। প্রাণ খুলে সবাই মিশতে পারছি, অাড্ডা দিতে পারছি, যা মনের খোড়াকও জোগালো।এএসএস/এএস/এআরএস/এমএস